পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

পুলিশের মারে যুবকের মৃত্যুর অভিযোগ, থানার সামনে বিক্ষোভে উত্তেজনা ঢোলাহাটে - Young Man Death - YOUNG MAN DEATH

Young Man Beaten to Death: আত্মীয়ের বাড়িতে চুরির সন্দেহে থানায় তুলে এনে যুবককে মারধরের অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে । পরে জামিন পেয়ে মৃত্যু হয় যুবকের । মৃতের নাম আবু সিদ্দিক হালদার ৷ পুলিশের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন মৃতের পরিবারের সদস্যরা ৷

Young Man Beaten to Death
যুবকের মৃত্যু ঘিরে পরিবারের বিক্ষোভ ঢোলাহাটে (নিজস্ব ছবি)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jul 9, 2024, 6:46 PM IST

ঢোলাহাট(দক্ষিণ 24 পরগনা), 9 জুলাই:প্রথমে চোর সন্দেহে থানায় তুলে এনে যুবককে মারধরের অভিযোগ। পরে হাসপাতাা মৃত্যু ৷ থানার সামনে বিক্ষোভে ফেটে পড়ল যুবকের পরিবার ৷ পুলিশ ও আন্দোলনকারীদের ধস্তাধস্তিতে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির সৃষ্টি হল ঢোলাহাট থানা এলাকায় ৷ পুলিশকে লক্ষ্য করে ইট বৃষ্টি হয় বলেও অভিযোগ ৷ এই ঘটনায় আহত হয়েছে দু'জন পুলিশ কর্মী । পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয় এলাকায় । এলাকাবাসীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশের বিরুদ্ধে লাঠিচার্জেরও অভিযোগ উঠেছে।

যুবকের মৃত্যুকে ঘিরে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি ঢোলাহাটে (ইটিভি ভারত)

মৃত ওই যুবকের নাম আবু সিদ্দিক হালদার ৷ বয়স 22 বছর । মৃত যুবক ঢোলাহাটের ঘাটবকুলতলা গ্রামের বাসিন্দা । এই ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায় । মৃতের পরিবারের এক সদস্যের কথায়, "পুলিশ মেরে ফেলেছে আমাদের বাড়ির ছেলেকে ৷ খুব কষ্ট পেয়েছে সিদ্দিক ৷ বুকে, পায়ে বেধড়ক মারধর করা হয়েছে ৷ এমনকী ইলেকট্রিক শকও দেওয়া হয়েছে তাঁকে ৷"

এই ঘটনায় মৃতের পরিবারের পক্ষ থেকে পুলিশ সুপার কোটেশ্বর রাওয়ের কাছে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ৷ এই অভিযোগের বিষয়ে পুলিশ সুপার জানিয়েছেন, "আদালতে পেশ করার সময় যুবকের শারীরিক পরীক্ষায় কোনও সমস্যা ছিল না । তবুও পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করেছে জেলা পুলিশ ।"

জানা গিয়েছে, ঘটনার সূত্রপাত গত 30 জুন । ওইদিন মৃত যুবকের কাকা মহসিন হালদারের বাড়ি থেকে সোনার গয়না চুরি হয় ৷ অভিযোগ, এরপর 1 জুলাই ঢোলাহাট থানার পুলিশ মহসিন হালদার ও তাঁর ভাইপো আবু সিদ্দিককে থানায় তুলে আনে। মহসিনকে দিয়ে ভাইপোর নামে জোর করে চুরির অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয় বলেও অভিযোগ। শুধু তাই নয়, পরিবারর আরও দাবি, থানায় ডেকে নিয়ে এসে ওই যুবককে প্রবল মারধর করা হয়। তখনই তাঁর প্রাণ যায়।

মৃতের পরবিরারের অভিযোগ, সিদ্দিককে থানার মধ্যে দফায় দফায় মারধর করা হয় । 4 জুলাই কাকদ্বীপ মহকুমা আদালতে পেশ করা হয় আবু সিদ্দিককে । ওইদিন জামিন দেয় আদালত । গুরুতর অসুস্থ আবু সিদ্দিককে প্রথমে মথুরাপুর, ডায়মন্ড হারবার ও পরে চিত্তরঞ্জন হাসপাতলে ভর্তির চেষ্টা করা হয় । কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার পার্ক সার্কাসের একটি নার্সিংহোমে ভর্তি করা হয় তাঁকে । সোমবার রাত দশটা নাগাদ সেখানেই যুবকের মৃত্যু হয় ।

ABOUT THE AUTHOR

...view details