বালুরঘাট, 6 মে: কলেজ জীবনে এসএফআই, তারপর ডিওয়াইএফআই ৷ ছাত্র জীবন থেকেই রাজনীতি করতেন ইমরান ৷ হকের চাকরি পেতে যোগ দিয়েছিলেন এসএলএসটি আন্দোলনে ৷ ওয়েস্ট বেঙ্গল নিউ এসএসসি, এসএলএসটি গ্রুপ সি-ডি একতা মঞ্চের প্রতিষ্ঠাতা এবং সভাপতিও ছিলেন তিনি ৷ রবিবার দুপুরে হঠাৎ মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণে মৃত্যু হয় তাঁর ৷ চাকরি না-পাওয়া, সংগঠনের সবাইকে চাকরির পথ না-দেখানো, বেকারত্ব, এসব মিলিয়েই কি মানসিক অসুস্থতায় ভুগছিলেন বছর চৌত্রিশের ইমরান হোসেন! তাঁর অকালমৃত্যুতে এই প্রশ্ন শুধু তাঁর গ্রামে নয়, রাজ্যজুড়ে ৷
পড়াশোনার সূত্রে কলকাতাতেই থাকতেন ইমরান ৷ গত রবিবার সংগঠনের আন্দোলনে সামিল ছিলেন তিনিও ৷ শনিবার কলকাতা থেকে দক্ষিণ দিনাজপুরের কালিকামড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের আমিনপুর বাজারপাড়া গ্রামে বাড়িতে ফিরেছিলেন ৷ রবিবার সকালে বাবার সঙ্গে বাজার যান ৷ দুপুরে খেতে বসেই বিপত্তি! ভাত খেতে খেতেই তাঁর মুখ-সহ শরীরের একটি দিক বেঁকে যেতে শুরু করে ৷ তা দেখে পরিবারের লোকজন তড়িঘড়ি স্থানীয় গঙ্গারামপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যান ৷
কিন্তু চিকিৎসকরা তাঁকে অন্যত্র রেফার করে দেন ৷ তাঁকে কলকাতা নিয়ে যাচ্ছিলেন পরিবারের সদস্যরা ৷ কিন্তু পথেই মৃত্যু হয় তাঁর ৷ ফের গঙ্গারামপুর হাসপাতালে ফিরিয়ে আনা হলে সিটি স্ক্যান করে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন ৷ রবিবার রাতেই গ্রামের ইমরানের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়েছে ৷ মৃত ইমরানের কাকা আনোয়ার হোসেন বলেন, "বাবার সঙ্গে বাজার গিয়েছিল ৷ বাড়ি ফিরে খেতে খেতে হঠাৎ দেখি মুখ বেঁকে যাচ্ছে । তারপর পড়ে যায়। সঙ্গে সঙ্গে রশিদপুর হাসপাতালে নিয়ে যাই। সেখান থেকে গঙ্গারামপুর সুপারস্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় ৷ সেখানেই সিটি স্ক্যান করানো হয়। এরপরেই ডাক্তার জানান, ইমরান মারা গিয়েছে।"