চুঁচুড়া, 21 জুলাই: প্রসূতির মৃত্যু ও সংকটজনক পরিস্থিতি নিয়ে চুঁচুড়া হাসপাতালে তদন্তে এলেন স্বাস্থ্য ভবনের প্রতিনিধিরা । শনিবার ইমামবাড়া হাসপাতালে আসে স্বাস্থ্য ভবনের বিশেষজ্ঞ কমিটির তিন সদস্যের ওই দল । সিজারের পর কী কারণে চারজন প্রসূতির সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হল, কেনই বা প্রস্রবের পর নৈহাটির বাসিন্দা অঞ্জলি মণ্ডলের মৃত্যু হল ? সেই বিষয়ে তদন্তে করে স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট জমা দেবে এই দল ৷ এই ঘটনাগুলির পিছনে চিকিৎসক না চিকিৎসা ব্যবস্থার গাফিলতি ছিল, সেটাও খতিয়ে দেখে রিপোর্ট জমা দেওয়া হবে বিশেষজ্ঞ কমিটির তরফে ।
চুঁচুড়া হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যুর অভিযোগ (ইটিভি ভারত) যদিও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্যকর্মী মৃগাঙ্ক মৌলি কর জানান, কী কারণে এক দিনে সিজার হওয়া প্রসূতিদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হয়ে গেল, তা বোঝা যায়নি । সব দিক খতিয়ে দেখা হচ্ছে । পাশাপাশি স্বাস্থ্য ভবন থেকে বিশেষজ্ঞ কমিটির সদস্যরা এসে ঘটনার তদন্ত করে রিপোর্ট দেবেন । সেই মত আজ স্বাস্থ্য ভবন থেকে তিন সদস্যের বিশেষজ্ঞ কমিটি উপস্থিত হয়েছিল চু়ঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে ।
ওই হাসপাতালের সুপার অমিতাভ মণ্ডল বলেন, "ঘটনার তদন্তে করার জন্য বিশেষজ্ঞের দল চুঁচুড়া হাসপাতালে এসেছিল । তারা চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রসূতির মৃত্যু ও সংকটজনক পরিস্থিতি নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । সমস্ত দিক খতিয়ে দেখছে তারা । বাকি বিষয় তারা বলবেন । প্রতিনিধি দল স্বাস্থ্য ভবনে রিপোর্ট দিলে তারপর আমরা জানতে পারব । এর বেশি কিছু বলতে পারব না ।"
উল্লেখ্য, সোমবার চুঁচুড়া ইমামবাড়া হাসপাতালে চিকিৎসক সিজার করার পর পাঁচজন প্রসূতির সংকটজনক পরিস্থিতি তৈরি হয় । তাঁদের মধ্যে অঞ্জলি মণ্ডলকে মঙ্গলবার কলকাতার আরজি কর হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয় । বুধবার সেখানেই তাঁর মৃত্যু হয় । বৃহস্পতিবার আরও দু'জনকে এসএসকেএম ও মেডিক্যাল কলেজে স্থানান্তর করে চুঁচুড়া হাসপাতাল । বর্তমানে তাঁরাও চিকিৎসাধীন ।
প্রসূতি মৃত্যুর পর চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তোলা হয় রোগীর পরিবারের তরফে ৷ তাদের অভিযোগ করার পরই নড়েচড়ে বসে প্রশাসন । যদিও প্রসূতির মৃত্যু বা অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ার পিছনে এখনও কোনও কারণ খুঁজে পায়নি স্বাস্থ্য দফতর । বিশেষজ্ঞ কমিটির তিন সদস্যের দলের রিপোর্টের দিকে তাকিয়ে রয়েছে প্রসূতির পরিবার । তাদের দাবি, হটাৎ কী কারণে একাধিক মা গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ল, সেটা খুঁজে বার করুক স্বাস্থ্য দফতর ।