পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

ময়নাতদন্তে মানা হয়নি নিয়ম ! আরজি কর-কাণ্ডে নয়া রিপোর্ট দিল্লি এইমসের বিশেষ দলের - RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER CASE

আরজি কর-কাণ্ডে নয়া রিপোর্ট পেশ করল দিল্লি এইমসের 11 জন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল ৷

RG KAR DOCTOR RAPE AND MURDER CASE
আরজি কর কাণ্ডে নয়া রিপোর্ট দিল্লি এইমসের (ফাইল চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Dec 27, 2024, 10:45 AM IST

কলকাতা, 27 ডিসেম্বর: আরজি কর হাসপাতালের নরকীয় হত্যাকাণ্ডের ময়নাতদন্তে মানা হয়নি নিয়ম । দিল্লি এইমস-এর রিপোর্টে এবার এমনই তথ্য উঠে এল ৷ ইতিমধ্যেই, সিবিআই-এর কাছে পৌঁছে গিয়েছে সেই রিপোর্ট।

ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ আদর্শ কুমারের নেতৃত্বে 11 জন সদস্যের বিশেষজ্ঞ দল 'মাল্টি ইনস্টিটিউশনাল মেডিক্যাল বোর্ড' একটি রিপোর্ট জমা দিয়েছেন । 8 পাতার ওই রিপোর্টে রয়েছে 9 টি উল্লেখযোগ্য পয়েন্ট । ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি-সহ একাধিক তথ্য খতিয়ে দেখে নতুন রিপোর্ট তৈরি করেছে বিশেষ এই দল । রিপোর্টে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্ত করার সময় নিয়ম বহির্ভূত একাধিক কাজ হয়েছে ।

নয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, শ্বাসরোধ করেই খুন করা হয় আরজি করের তরুণী চিকিৎসককে । তাঁর মৃত্যু হয়েছিল 8 অগস্ট রাত 12টা থেকে ভোর 6টার মধ্যে । তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ধর্ষণেরও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে ৷ তাঁর হাইমেন পর্দা ছেঁড়া ছিল বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে ৷ সেই সঙ্গে, তরুণী চিকিৎসকের সারা শরীরে কামড়ের দাগের সঙ্গে লালার নমুনা পাওয়া গিয়েছে । সেই নমুনার সঙ্গে সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয় রায়ের লালা সম্পূর্ণ মিলে গিয়েছে বলে উল্লেখ রয়েছে বিশেষজ্ঞদের এই রিপোর্টে ৷

আরজি কর কাণ্ডে নয়া রিপোর্ট (নিজস্ব চিত্র)

তরুণী চিকিৎসককে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনায় একাধিক ব্যক্তির যুক্ত থাকার অনুমান বাতিল করেছে নয়া এই রিপোর্ট ৷ রিপোর্ট অনুযায়ী, নৃশংস এই ঘটনা একজনের পক্ষেও ঘটানো সম্ভব । তবে তাঁকে ধর্ষণের পর খুন করা হয়েছে । তাঁর শরীরের সমস্ত আঘাতের চিহ্ন খুনের আগে । সেই সঙ্গে, তাঁর যোনিতে ব্যাপক পরিমাণে বল প্রয়োগ করারও প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে । তবে এই বল প্রয়োগ কোনও পুরুষাঙ্গ কিংবা অন্য কোনও ভোতা জিনিসেরও হতে পারে বলে উল্লেখ রয়েছে রিপোর্টে ।

আরজি কর কাণ্ডে নয়া রিপোর্ট (নিজস্ব চিত্র)

রিপোর্টে বলা হয়েছে, ময়নাতদন্তের সময় বহু মানুষ ঘরে উপস্থিত ছিলেন। এমনকী, অনেকেই তাদের ব্যক্তিগত ফোনে ভিডিয়ো এবং ছবি তুলেছেন। ময়নাতদন্তের ভিডিয়োগ্রাফি থেকে এই সমস্ত তথ্য পাওয়া গিয়েছে । যদিও তরুণী চিকিৎসকের শরীরে কোনও বীর্য পাওয়া যায়নি । তাহলে ঠিক কী হয়েছিল ওই তরুণী চিকিৎসকের সঙ্গে ? এক্ষেত্রে বিশেষজ্ঞদের রিপোর্টে বেশকিছু সম্ভাবনার কথা তুলে ধরা হয়েছে । পুরুষাঙ্গের বদলে অন্য কোনও অঙ্গ শরীরে প্রবেশ করানো হলে এই ধরনের সম্ভাবনা থাকে ।

আবার, ভোতা কোনও জিনিস ওই তরুণী চিকিৎসকের শরীরে প্রবেশ করানো হলেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে । সেই সঙ্গে, ধর্ষণের সময় কনড্রোম ব্যবহার করা হলেও এই ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানিয়েছে রিপোর্ট ৷ সবশেষে বলা হয়েছে, ওই তরুণী চিকিৎসকের চোখে চশমা এবং দাঁতে ব্রেস লাগানো ছিল।

পড়ুন:ফের বন্ধ হল আরজি করের ওটি, বিপাকে রোগীরা

ABOUT THE AUTHOR

...view details