কলকাতা, 15 মে: সকালে মনোনয়ন জমার জট কাটল সন্ধ্যাবেলা ৷ অবশেষে বসিরহাটের তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করল নির্বাচন কমিশন ৷ আগামী 1 জুন বসিরহাট লোকসভা কেন্দ্রে সপ্তম দফায় নির্বাচন ৷ তার আগে তৃণমূল প্রার্থী হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন নিয়ে জটিলতা সৃষ্টি হয়েছিল। তাঁর মনোনয়নপত্রে গলদ রয়েছে বলে অভিযোগ তুলেছিল বিজেপি ৷ একই দাবি ছিল নির্দল প্রার্থীর।
এদিন, নির্দল প্রার্থী মেরাজ মোল্লা, হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে মনোনয়নে গলদ থাকার অভিযোগ এনেছিলেন। তবে মেরাজ মোল্লার সেই অভিযোগ খারিজ করল নির্বাচন কমিশন। হাজি নুরুল ইসলাম তাঁর আবেদন পত্রে 'ডিউ' (Dues)-এর জায়গায় 'নট অ্যাপলিকেবল' (not applicable) কথাটি লিখেছিলেন। তবে কেউ যদি রিটেইনিং অফিসারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চান, সেই ক্ষেত্রে তাঁকে সোজাসুজি আদালতের দ্বারস্থ হতে হবে বলে জানিয়েছে কমিশন। আর এই যুক্তিতেই মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধরের মনোনয়ন আটকে গিয়েছিল এই 'নো ডিউস সার্টিফিকেট' (No Dues Certificate) না দেওয়ার জন্য। কারণ 'ডিউ'র শূন্যস্থানে তিনি লিখেছিলেন, 'ইয়েস' ৷ এই কথা ফর্মে লেখার পর সার্টিফিকেট দেওয়া মাস্ট ৷ তা দিতে পারেননি বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর ৷ সেই কারণে তাঁর মনোনয়ন বাতিল করে দেয় নির্বাচন কমিশন ৷
প্রসঙ্গত, বুধবার বিকেলে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায় সাংবাদিক সম্মেলন করে তৃণমূল প্রার্থী অর্থাৎ মালা রায় ও হাজি নুরুল ইসলামের মনোনয়ন বাতিলের দাবি তোলেন ৷ অভিযোগ ছিল, হাজি নুরুল ইসলামের হলফমানায় নো ডিউ সার্টিফিকেট জমা দেননি ৷ নির্বাচনী হলফনামা অনুযায়ী কোনও প্রার্থী শেষ 10 বছরে যদি কোনও কারণে সরকারি পরিষেবা নেওয়া কোনও বিল বাকি থাকে তাহলে তা মিটিয়ে দিতে হয় ৷ তাঁর যে সরকারের কাছে কোনও বকেয়া নেই, তা হলফনামায় জানিয়ে দিতে হয় ৷ আর সেই শূন্যস্থান পূরণ করতে গিয়ে 'নট অ্যাপলিকেবল' লিখেছিলেন হাজি নুরুল ইসলাম ৷