কলকাতা, 2 অগস্ট: রেশন দুর্নীতি মামলায় এক ব্যবসায়ীর প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের আর্থিক লেনদেনের হদিশ পেল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট ৷ তারপরেই বারিক বিশ্বাস নামে ওই ব্যবসায়ীকে আজই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷ তদন্তে নেমে আধিকারিকদের অনুমান রেশন দুর্নীতির কোটি কোটি টাকা বারিক বিশ্বাসের মাধ্যমে দুবাইয়ে পাচার করা হয়েছে ৷
উল্লেখ্য, সম্প্রতি রেশন দুর্নীতি মামলার তদন্তে ইডি জ্যোতিপ্রিয় এবং বারিক বিশ্বাসের মধ্যে কোটি কোটি টাকা লেনদেনের তথ্য পায় ৷ চলতি সপ্তাহে বারিক বিশ্বাসের ফ্ল্যাট ও বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে একাধিক নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করা হয় ৷ সেই নথিগুলি খতিয়ে দেখার পর, কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা জানতে পারেন, বারিক বিশ্বাস বেশ কয়েকবার দুবাইয়ে গিয়েছিলেন ৷ এমনকি সেখানে কোটি কোটি টাকার আর্থিক লেনদেন হয়েছে ৷ কিন্তু, বারিক বিশ্বাসের ব্যবসা সংক্রান্ত কোনও দুবাই যোগ পাওয়া যায়নি ৷
ফলে তদন্তকারীরা মনে করছেন, বারিক বিশ্বাসের মাধ্যমে দুবাইয়ে রেশন দুর্নীতির কালো টাকা পাচার করা হয়ে থাকতে পারে ৷ এমন একাধিক বিষয়ে জানতে আজই বারিক বিশ্বাসকে সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য তলব করেছে ইডি ৷ মূলত, প্রাক্তন খাদ্যমন্ত্রী যিনি বর্তমানে দুর্নীতির অভিযোগে জেলবন্দি, তাঁর সঙ্গে বারিক বিশ্বাসের কোটি কোটি টাকার লেনদেন কেন ? পাশাপাশি, দুবাইয়ে ব্যবসায়ীক কোনও যোগ না থাকা সত্ত্বেও, সেখানে কোটি কোটি টাকার লেনদেন ৷ এই সব প্রশ্নের উত্তর খুঁজছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ৷
ইডি সূত্রে খবর, একসময় ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত নিজের ট্রাক চালিয়ে উপার্জন করতেন বারিক বিশ্বাস ৷ সেখান থেকে 2012-14 সালের মধ্যে বারিক বিশ্বাসের জীবনে আমূল পরিবর্তন ঘটে ৷ হঠাৎই রিয়েল এস্টেটের ব্যবসা শুরু করে দেন তিনি ৷ সেখান থেকে পাসপোর্ট ও রেঁস্তোরার ব্যবসায় হাত পাকান ৷ কীভাবে রাতারাতি এই পরিবর্তন এল ? তার উত্তর খুঁজছে তদন্তকারী সংস্থা ৷ তবে, ইডি আধিকারিকদের অনুমান, রেশন দুর্নীতি ছাড়াও রাজ্যে গরুপাচার চক্রের একটি অংশের সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছেন এই বারিক বিশ্বাস ৷ এই সব দিকগুলি খতিয়ে দেখতে চাইছেন ইডি আধিকারিকরা ৷