কলকাতা, 26 অক্টোবর: এসএসসি-র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে বেআইনিভাবে নিয়োগের ঘটনায় এজেন্ট প্রসন্ন রায় ও তাঁর স্ত্রীর সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট । কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি, প্রসন্ন রায় ও তাঁর স্ত্রীর নামে থাকা হোটেল, রেস্তরাঁ-সহ একাধিক ব্যবসা মিলিয়ে মোট 163 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে ।
ইডি সূত্রে খবর, শুধু তাঁদের নয়, এর আগে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় একাধিক জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে আরও অন্যান্যদের বহু সম্পত্তির খোঁজ পান তদন্তকারীরা ৷ এসএসসি'র গ্রুপ সি ও গ্রুপ ডি পদে বেআইনি নিয়োগ-কাণ্ডে মোট 588 কোটি টাকার সম্পত্তি বাজেয়াপ্ত করেছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ।
এই ঘটনায় তদন্তে নেমে সিবিআই এর আগে একাধিক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে । পরে নিউটাউনের ব্যবসায়ী বলে পরিচিত প্রসন্ন রায়কে গ্রেফতার করেছিলেন তদন্তকারী আধিকারিকরা । পরে যদিওবা সুপ্রিম কোর্টে জামিন পেয়ে যান প্রসন্ন রায় । তবে জামিন পেয়ে স্বস্তি মেলেনি তাঁর ৷ পরে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক তছরুপের মামলায় তাঁকে গ্রেফতার করে ইডি ৷
কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকদের অভিযোগ, এই প্রসন্ন রায় মূলত রাজ্যে এজেন্ট হিসাবে কাজ করতেন । প্রসন্ন রায় রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ ছিলেন । প্রথমে প্রসন্ন রায়ের রংয়ের কারবার ছিল । পরে পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অন্যান্য প্রভাবশালী ব্যক্তিত্বদের ঘনিষ্ঠ হওয়ার পর তাঁর ব্যবসা বাণিজ্য ফুলে চেপে ওঠে । মূলত প্রসন্ন রায়ের গ্রেফতারির পর তাঁর বিভিন্ন ফ্ল্যাটে তল্লাশি অভিযান চালিয়ে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার গোয়েন্দারা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছিলেন, যা এসএসসি-র গ্রুপ ডি এবং গ্রুপ সি তদন্তে অত্যন্ত সাহায্য করে ।
উল্লেখ্য, প্রসন্ন রায় সম্পর্কে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছিল ইডি ৷ কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দাবি করেছিল, নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় এজেন্টের কাজ করে 100 কোটি টাকা পকেটে ঢুকেছিল প্রসন্নর ৷ তাঁর কাজ ছিল অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের নম্বর জোগাড় করে তাঁদের সঙ্গে সরকারি আধিকারিকদের কথা বলিয়ে দেওয়া ৷ অর্থাৎ, মিডলম্যান হিসেবে কাজ করতেন তিনি ৷ আর এভাবেই 100 কোটি টাকা নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ৷ আর সেই টাকার হিসেব তাদের কাছে রয়েছে বলে দাবি এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের ৷