কলকাতা, 13 জানুয়ারি: স্যালাইন-কাণ্ডে এবার মুখ্যমন্ত্রী তথা স্বাস্থ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের দাবি তুললেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে মেয়াদ উত্তীর্ণ স্যালাইন দেওয়ায় অসুস্থ হন পাঁচ প্রসূতি ৷ এর মধ্যেই একজনের মৃত্যু হয়েছে ৷ বাকিরা এখনও চিকিৎসাধীন ৷ তিন জনের চিকিৎসা চলছে এসএসকেএমে আর অন্য একজন ভর্তি রয়েছেন মেদিনীপুর মেডিক্যালে ৷
গুরুতর অসুস্থ তিন প্রসূতিকে রবিবারই মেদিনীপুর মেডিক্যাল থেকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে আনা হয় ৷ মৃত প্রসূতির শিশুকেও মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ থেকে ছেড়ে দেওয়ার পরও গতকাল রাত থেকে তার অবস্থার অবনতি হওয়ায় সোমবার পাঁচদিনের শিশুটি ভর্তি করা হয় হাসপাতালে ৷ অন্যদিকে, আরও এক অসুস্থ প্রসূতি মেদিনীপুর মেডিক্যালেই ভর্তি, তবে তাঁর অবস্থা অন্য তিনজনের মতো গুরুতর নয় ৷ যা নিয়ে তোলপাড় রাজ্য-রাজনীতি। এবিষয়ে বিধানসভার বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এফআইআরের দাবি তোলেন ৷
তিনি বলেন, "এটা একদম দিনের আলোর মতো পরিষ্কার। তথ্য বলছে, যে স্বাস্থ্য দফতরের তরফে এই গাফিলতি। যা ক্ষমার অযোগ্য। 13 ডিসেম্বর কর্ণাটক সরকার লিখিতভাবে ওই স্যালাইন (LR) সম্বন্ধে রাজ্যকে চিঠি দিয়েছিল। তারপর জানুয়ারি মাসে রাজ্য সরকার এই স্য়ালাইন ব্যবহার করার ক্ষেত্রে নিষেধ করে ৷ কিন্তু তারপরও তা ব্যবহার করা হয়েছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণ স্বরূপ নিগমের ত্রুটি ৷ কর্ণাটক সরকার এই বিষয়ে সচেতন করা সত্ত্বেও এক মাস পেরিয়ে গেলেও রাজ্য সরকার এই বিষয়ে কোনও পদক্ষেপ করেনি।"
তাঁর আরও সংযোজন, "এই কোম্পানির এক ব্যক্তি শাসক দলের ঘনিষ্ঠ।" এর পিছনে অর্থের লেনদেন রয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। তাঁর কথায়, "মানুষের চোখের জলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও তাঁর সরকার ধ্বংস হবে। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী একটি বিশেষ গোষ্ঠীকে নেতৃত্ব দেন এবং তিনি একটি সংগঠন চালান এরাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভোট ব্যাঙ্ক। আর এই ভোট ব্যাঙ্কে আঘাত আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চেয়ার নড়ে যাবে। এমন কাজ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় করবেন না ৷"