কলকাতা, 14 অক্টোবর: রীতি মেনে ইছামতির জলে ভাসান হল দুই বাংলার দুর্গা প্রতিমার ৷ তবে, অন্যান্যবারের তুলনায় দুর্গা প্রতিমার সংখ্যা অনেকটাই কম ছিল ৷ বিএসএফের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, মোট 55টি দুর্গা প্রতিমা এবছর বিসর্জন হয়েছে ৷ টাকি ও সোদপুর সীমান্ত ফাঁড়ির ঘাটে এই দুর্গা প্রতিমার ভাসান হয় ৷
বিএসএফ ও বিজিবি-র কড়া নজরদারিতে টাকির ইছামতি নদীতে নির্বিঘ্নে সম্পন্ন হল বিসর্জন ৷ বিএসএফ-এর 85 নম্বর ব্যাটালিয়নের তত্ত্বাবধানে, লক্ষাধিক মানুষের উপস্থিতিতে প্রতিমা বিসর্জন হয়েছে দু’পাড়ে ৷
টাকিতে বিএসএফ-এর নজরদারিতে দুর্গা প্রতিমার ভাসান ৷ (নিজস্ব চিত্র) বিএসএফ-এর 85 নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্টের নেতৃত্বে বিসর্জনের প্রক্রিয়া পরিচালনা করা হয় ৷ সঙ্গে 145 নম্বর ব্যাটালিয়নের 29 জন এবং 118 নম্বর ব্যাটালিয়নের 30 জন বিএসএফ জওয়ানকে পুরো বিসর্জন প্রক্রিয়ার নিরাপত্তার জন্য মোতায়েন করা হয় ৷
ইছামতি নদীর তীরে বাংলাদেশ বর্ডার গার্ড (বিজিবি) সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন ৷ সীমান্তের উভয় প্রান্তের মধ্যে নিরবিচ্ছিন্ন সমন্বয় বজায় রেখে বিসর্জন প্রক্রিয়া চালানো হয় ৷ বিএসএফের তরফে বলা হয়েছে, পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে সবসময় শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখাই তাঁদের লক্ষ্য ৷ টাকির চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, বসিরহাটের ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট এবং পুলিশের প্রতিনিধিরা ভাসানের সময় ইছামতির পাড়ে উপস্থিত ছিল ৷ তাঁরাও বিএসএফের সঙ্গে সহযোগিতা করে বিসর্জনের প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যান ৷ ঘাটে নিরাপত্তার জন্য মোট 130 জন পুলিশ কর্মী ও রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনীর 12 জন সদস্যকে মোতায়েন করা হয় ৷
বিএসএফের দক্ষিণবঙ্গ সীমান্ত জনসংযোগ আধিকারিক ডিআইজি এনকে পাণ্ডে বলেন, "শান্তিপূর্ণ বিসর্জন প্রক্রিয়া আয়োজন করার জন্য বিএসএফ এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের মিলিত প্রচেষ্টার প্রশংসনীয় ছিল ৷" তিনি পাশাপাশি, স্পর্শকাতর ভারত-বাংলাদেশ সীমান্তে শান্তি ও নিরাপত্তা বজায় রাখার জন্য বিএসএফ-এর ভূমিকার উপর জোর দেন ৷