কুলতলি, 12 ফেব্রুয়ারি: বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ ৷ গ্রেফতার প্রতিবেশী । ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার দক্ষিণ 24 পরগনার কুলতলি থানা এলাকায় । অভিযুক্ত 16 বছরের ওই কিশোরীর পাড়ায় থাকেন, তাঁকে কাকু বলে ডাকে নাবালিকা ৷
নির্যাতিতার পরিবারের দাবি, নাবালিকার বাবা ও মা ছিলেন বাইরে ৷ দিদি গিয়েছিলেন ব্যাংকে । বাড়িতে একাই ছিল মানসিক ভারসাম্যহীন ওই নাবালিকা । সেই সুযোগে প্রতিবেশী ওই কাকু পাঁচিল টপকে বাড়ির মধ্যে ঢুকে তাকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ । নাবালিকার চিৎকার শুনে প্রতিবেশীরা সেখানে আসেন । তাঁরা দেখেন ঘরের সদর দরজায় তালা লাগানো ৷ তারপর একজন প্রতিবেশী পাঁচিল টপকে ঘরের মধ্যে ঢুকে বিবস্ত্র অবস্থায় দেখতে পান নাবালিকাকে ৷
প্রতিবেশীদের দাবি, তখনও নাবালিকার ঘরের মধ্যেই ছিলেন অভিযুক্ত ওই ব্যক্তি । এরপরেই তাঁকে বেধড়ক মারধর শুরু করেন প্রতিবেশীরা ৷ খবর পেয়ে কুলতলি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে উদ্ধার করে নিজেদের হেফাজতে নেয় ৷ ধৃতের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করেছে পুলিশ । ধৃতকে বুধবার বারুইপুর মহকুমা আদালতে পেশ করা হবে । এদিকে, বিশেষভাবে সক্ষম নাবালিকাকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য হাসাপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছে ৷
এই বিষয়ে বারুইপুর পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল রূপান্তর সেনগুপ্ত বলেন, "ইতিমধ্যেই অভিযোগের ভিত্তিতে ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছে । অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইনে মামলা রুজু করা হয়েছে । সম্পূর্ণ বিষয় আমরা খতিয়ে দেখছি ।"
নির্যাতিতার দিদি বলেছেন, "মঙ্গলবার আমি বাড়িতে ছিলাম না ৷ ব্যাংকে গিয়েছিলাম ৷ সেই সুযোগ নিয়ে প্রতিবেশী কাকু বাড়িতে গিয়ে আমার বোনের সঙ্গে এই ঘটনা ঘটায় । এরপর স্থানীয়রা যখন খবর দেয় আমি গিয়ে দেখি আমার বোন বিছানায় শুয়ে রয়েছে । আমি চাই অভিযুক্তের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক ।"