কলকাতা, 6 অক্টোবর: আগামী বুধবার বোধন। তার আগেই সপরিবারে ট্রেনে চেপে রওনা দিলেন মা দুর্গা। লক্ষ্মী, গণেশ, সরস্বতী, কার্তিক সকলকে সঙ্গে নিয়েই ট্রেনে চড়ে উত্তরপ্রদেশের পথে উমা।
শুধু এবছর নয়, গত 46 বছর ধরে এভাবেই ট্রেনে চেপে কলকাতা থেকে উত্তরপ্রদেশের বালিয়া জেলায় পৌঁছন মা দুর্গা। সেখানকার পুজো উদ্যোক্তারা প্রতিবারই কুমোরটুলি থেকে প্রতিমা নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। তাঁদের পুজোর এটাই রেওয়াজ।
বালিয়ার পথে মা দুর্গা (ইটিভি ভারত) এলাকায় প্রতিমা পাওয়া গেলেও কলকাতার কুমোরটুলির প্রতিমাই তাঁদের প্রথম পছন্দ। বিগত বছরগুলির মতো ধারাবাহিকতা বজায় রেখে এবারও মা দুর্গাকে সপরিবারে ট্রেনে চাপিয়ে মণ্ডপের উদ্দেশে রওনা দিলেন পুজোর অন্যতম আয়োজক গজেন্দ্র কুমার পাণ্ডে এবং তাঁর সতীর্থরা।
শনিবার বেলা একটা চল্লিশ মিনিটের শিয়ালদা-বালিয়া এক্সপ্রেস চেপে রওনা দিয়েছেন তাঁরা। আগামিকাল ভোর ছটা নাগাদ বালিয়া স্টেশনে পৌঁছবেন। এরপর সেখান থেকে ফের গাড়ি করে মণ্ডপের উদ্দেশে রওনা দেওয়া। প্রতিবছরই পুজো কমিটির তিন-চার জন সদস্য কলকাতায় এসে প্রতিমা নিয়ে যান বলে জানা গিয়েছে। এবছর কুমোরটুলির উত্তম পালের থেকে দুর্গা, সরস্বতী, লক্ষ্মী সব মূর্তি বানানো হয়েছে। সেখান থেকে গাড়ি করে শিয়ালদা স্টেশন। তারপর একটা চল্লিশের বালিয়া এক্সপ্রেস ওঠা।
পুজোর নিয়ে গজেন্দ্র কুমার পাণ্ডে বলেন, "কুমোরটুলির প্রতিমা নিয়ে যাওয়া আমাদের পুজোয় রেওয়াজ। দীর্ঘ 46 বছর ধরে বালিয়ার 100টি পরিবার মিলে আমরা পুজো কর। প্রতিবার নিয়ম করে বোধনের আগেই কলকাতা থেকে প্রতিমা নিয়ে যাওয়া হয়।"
কিন্তু এই দীর্ঘ 800 কিমি পথ অতিক্রম করে নিরাপদ এবং সুরক্ষিতভাবে প্রতিভা নিয়ে যাওয়াটাতো রীতিমতো একটা গুরুতর বিষয় ! গজেন্দ্র কুমার অবশ্য বলছেন, "মা'কে নিয়ে যাব তারপরও সমস্যার কথা ভাবব ! এটা ঠিক নয়। সব সমস্যার সমাধানের পথ দেখান মা। তাই সমস্ত বাধা-বিপত্তিকে এড়িয়ে এভাবেই বছরের পর বছর আমাদের পুজো চলছে। আগামিদিনেও চলবে।"