বারাসত, 13 ফেব্রুয়ারি: সোনার দোকানে সিলিন্ডার বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ এক নাবালক-সহ তিন কর্মচারী। এদের মধ্যে দু'জনের অবস্থা সঙ্কটজনক।বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার জেলা সদর বারাসতে ৷ ঘটনার জেরে এদিন তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় হরিতলা মোড় এলাকায়।
সূত্রের খবর, ঘটনার সময় এলপিজি-র ছোট গ্যাস সিলিন্ডার দিয়ে ওই সোনার দোকানে চলছিল সোনা গলানোর কাজ ৷ সেই সময় হঠাৎই বিস্ফোরণ ঘটে।বিস্ফোরণের তীব্রতায় কেঁপে ওঠে এলাকা ৷ আতঙ্কিত হয়ে পড়েন আশপাশের ব্যবসায়ীরা ৷ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যায় বারাসত থানার পুলিশ।শুধুমাত্র সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, নাকি এর নেপথ্যে অন্য কোনও কারণ রয়েছে, তা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
এ নিয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা প্রকাশ্যে মুখ খুলতে নারাজ। তবে, বিষয়টি নিয়ে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন,"সোনার দোকানে কাজ চলাকালীন গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে তিন জন দগ্ধ হয়েছেন বলে জানতে পেরেছি আমরা। যার মধ্যে একজন নাবালকও রয়েছে।তিন জনের মধ্যে দু'জনের অবস্থা গুরুতর। ওই সোনার দোকানে পর্যাপ্ত পরিকাঠামো ছিল কি না,তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে ৷ এক্ষেত্রে কারোর গাফিলতি থাকলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।"
আহতরা হাসাপাতালে ভর্তি (নিজস্ব চিত্র) বারাসতের জনবহুল এলাকা হরিতলা মোড়ে গা ঘেঁষে রয়েছে পরপর সোনার দোকান ৷ দিনভর ব্যস্ততা থাকে সেখানে। চলে সোনার কারবার। ফলে, এলাকাটি অনেকের কাছেই পরিচিত সোনাপট্টি হিসেবে ৷ ব্যস্ততম ওই এলাকাতেই এদিন রাতে একটি সোনার দোকানে আচমকা বিস্ফোরণ ঘটে ।বিস্ফোরণে অগ্নিদগ্ধ হন অরিন্দম দাস, লিটন বারুলি-সহ সোনার দোকানের এক নাবালক কর্মচারী ৷ বিকট শব্দ পেয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ীরা এগিয়ে এসে উদ্ধার কাজে হাত লাগান ৷ তাঁরাই গুরুতর আহত অবস্থায় অগ্নিদগ্ধ তিনজনকে উদ্ধার করে তড়িঘড়ি নিয়ে যায় বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে ৷ আপাতত সেখানেই চিকিৎসা চলছে আহত তিন জনের। দু'জনের আঘাত গুরুতর বলেই খবর হাসপাতাল সূত্রে। বিস্ফোরণে দোকানের একাংশ-ও ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানা গিয়েছে ৷ জনবহুল এলাকায় এই ঘটনা ঘিরে রীতিমতো আতঙ্ক ছড়িয়েছে স্থানীয়দের মধ্যে।