ETV Bharat / state

9 দিন পরেও মেলেনি কাটা মুণ্ড! জম্মুতে পুলিশের জালে দত্তপুকুর-কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড - DUTTAPUKUR MURDER CASE

দত্তপুকুর-কাণ্ডে 9 দিন পরেও মেলেনি যুবকের কাটা মুণ্ড ! তবে জম্মু থেকে গ্রেফতার হয়েছে হত্যাকাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড ৷

ETV BHARAT
জম্মুতে পুলিশের জালে দত্তপুকুর-কাণ্ডের মাস্টারমাইন্ড (ইনসেটে মৃত হজরত লস্কর)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Feb 13, 2025, 3:16 PM IST

দত্তপুকুর, 13 ফেব্রুয়ারি: দত্তপুকুর-কাণ্ডে ন'দিন পরেও মেলেনি উদ্ধার হওয়া যুবকের কাটা মুণ্ড ! তারই মধ্যে এবার পুলিশের জালে খুনের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড । ধৃত মহম্মদ জলিল নিহত হজরত লস্করের প্রাক্তন প্রেমিকার বান্ধবীর স্বামী ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই জম্মুতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের জলিল । শুধু গা ঢাকাই নয় ! জম্মুর সাম্মাতে ভাঙাচোরা একটি লোহা লক্করের দোকানে কাজও জুটিয়ে ফেলেছিলেন । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় বারাসত জেলা পুলিশের বিশেষ টিম । বুধবার বিকেলে সেই দোকান থেকেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় খুনের মূল অভিযুক্ত মহম্মদ জলিলকে । এই নিয়ে দত্তপুকুরে যুবকের নৃশংস খুনের ঘটনায় মোট চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল ।

ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে বৃহস্পতিবার নিয়ে আসা হতে পারে এ রাজ‍্যে । এরপর জলিলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে যুবকের কাটা মুণ্ডের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে বারাসত জেলা পুলিশ । তদন্তকারীদের এ-ও ধারণা, ধড় থেকে যুবকের মুণ্ড এক কোপে আলাদা করার পর, জলিলই সেই কাটা মুণ্ড কোথাও নিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন । সেই কারণে তাঁকে জেরা করে এই খুনের কিনারা করতে চাইছে বারাসত জেলা পুলিশ ।

দত্তপুকুর-কাণ্ডে প্রথমে তদন্তকারীদের মনে হয়েছিল, নিহত হজরতের মামাতো ভাই ধৃত ওবায়দুল গাজিই খুনের মাস্টারমাইন্ড । কিন্তু, তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই নিত্য নতুন তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে । বিশেষ করে ধৃত ওবায়দুল, তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পর তদন্তকারীরা বুঝতে পারে, নৃশংস এই খুনের মাস্টারমাইন্ড অন্য কেউ ! তখনই সামনে আসে ওবায়দুলের স্ত্রীর বান্ধবীর স্বামী মহম্মদ জলিলের নাম । পুলিশ জানতে পারে, দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বেপাত্তা তিনি । এরপর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে । তখনই কলকাতা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েন জলিল । তারপর পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায়, ট্রেনে করে ভিন রাজ‍্যে পালিয়ে গিয়েছে সে ।

এই বিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, "ধৃত জলিলকে ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ‍্যে নিয়ে আসার পর পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হবে আদালতে । আশা করা যায়, এবার কাটা মুণ্ডের হদিশ মিলবে । তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয় ।"

প্রসঙ্গত, গত 3 ফেব্রুয়ারি দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের বাজিতপুর এলাকার একটি চাষের জমি থেকে বছর চল্লিশের এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয় । প্রমাণ লোপাটে ওই যুবকের হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল । শুধু তাই নয়, যুবকের যৌনাঙ্গও ছিল ক্ষতবিক্ষত ।সাতসকালে হাড়হিম করা সেই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিল মালিয়াকপুর গ্রাম । তখন যুবকের পরিচয় না-মিললেও দু'দিনের মাথায় পুলিশ ওই যুবকের পরিচয় জানতে পারে । বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে এসে দেহটি শনাক্ত করেন যুবকের স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ।

জানা যায়, দেহটি গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামের হজরত লস্করের । এরপর তদন্ত শুরু হতেই সামনে আসে একের পর এক রহস্য । তদন্তে কখনও উঠে এসেছে ত্রিকোণ প্রেম, পরকীয়ার মতো সম্পর্ক । আবার কখনও উঠে এসেছে ব‍্যক্তিগত আক্রোশও । তাই, আপাতত ধৃত জলিলকে জেরা করেই দত্তপুকুর-কাণ্ডে রহস্য ভেদ করতে মরিয়া বারাসত জেলা পুলিশ ।

দত্তপুকুর, 13 ফেব্রুয়ারি: দত্তপুকুর-কাণ্ডে ন'দিন পরেও মেলেনি উদ্ধার হওয়া যুবকের কাটা মুণ্ড ! তারই মধ্যে এবার পুলিশের জালে খুনের ঘটনার মাস্টারমাইন্ড । ধৃত মহম্মদ জলিল নিহত হজরত লস্করের প্রাক্তন প্রেমিকার বান্ধবীর স্বামী ।

পুলিশ সূত্রে খবর, ঘটনার পর থেকেই জম্মুতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন বছর পঁয়তাল্লিশের জলিল । শুধু গা ঢাকাই নয় ! জম্মুর সাম্মাতে ভাঙাচোরা একটি লোহা লক্করের দোকানে কাজও জুটিয়ে ফেলেছিলেন । গোপন সূত্রে খবর পেয়ে সেখানে হানা দেয় বারাসত জেলা পুলিশের বিশেষ টিম । বুধবার বিকেলে সেই দোকান থেকেই হাতেনাতে পাকড়াও করা হয় খুনের মূল অভিযুক্ত মহম্মদ জলিলকে । এই নিয়ে দত্তপুকুরে যুবকের নৃশংস খুনের ঘটনায় মোট চারজনকে পুলিশ গ্রেফতার করল ।

ধৃতকে ট্রানজিট রিমান্ডে বৃহস্পতিবার নিয়ে আসা হতে পারে এ রাজ‍্যে । এরপর জলিলকে নিজেদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে যুবকের কাটা মুণ্ডের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে মনে করছে বারাসত জেলা পুলিশ । তদন্তকারীদের এ-ও ধারণা, ধড় থেকে যুবকের মুণ্ড এক কোপে আলাদা করার পর, জলিলই সেই কাটা মুণ্ড কোথাও নিয়ে গিয়ে থাকতে পারেন । সেই কারণে তাঁকে জেরা করে এই খুনের কিনারা করতে চাইছে বারাসত জেলা পুলিশ ।

দত্তপুকুর-কাণ্ডে প্রথমে তদন্তকারীদের মনে হয়েছিল, নিহত হজরতের মামাতো ভাই ধৃত ওবায়দুল গাজিই খুনের মাস্টারমাইন্ড । কিন্তু, তদন্ত যত এগিয়েছে, ততই নিত্য নতুন তথ্য উঠে এসেছে পুলিশের হাতে । বিশেষ করে ধৃত ওবায়দুল, তাঁর স্ত্রী ও স্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বান্ধবীকে মুখোমুখি বসিয়ে জেরা করার পর তদন্তকারীরা বুঝতে পারে, নৃশংস এই খুনের মাস্টারমাইন্ড অন্য কেউ ! তখনই সামনে আসে ওবায়দুলের স্ত্রীর বান্ধবীর স্বামী মহম্মদ জলিলের নাম । পুলিশ জানতে পারে, দেহ উদ্ধারের পর থেকেই বেপাত্তা তিনি । এরপর পুলিশ সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখতে শুরু করে । তখনই কলকাতা স্টেশনের সিসিটিভি ফুটেজে ধরা পড়েন জলিল । তারপর পুলিশ নিশ্চিত হয়ে যায়, ট্রেনে করে ভিন রাজ‍্যে পালিয়ে গিয়েছে সে ।

এই বিষয়ে বারাসত পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার প্রতীক্ষা ঝাড়খাড়িয়া বলেন, "ধৃত জলিলকে ট্রানজিট রিমান্ডে এ রাজ‍্যে নিয়ে আসার পর পুলিশি হেফাজতে চেয়ে আবেদন করা হবে আদালতে । আশা করা যায়, এবার কাটা মুণ্ডের হদিশ মিলবে । তদন্তের স্বার্থে এর থেকে বেশি কিছু বলা সম্ভব নয় ।"

প্রসঙ্গত, গত 3 ফেব্রুয়ারি দত্তপুকুরের ছোট জাগুলিয়া পঞ্চায়েতের বাজিতপুর এলাকার একটি চাষের জমি থেকে বছর চল্লিশের এক যুবকের মুণ্ডহীন দেহ উদ্ধার হয় । প্রমাণ লোপাটে ওই যুবকের হাত-পা বেঁধে পুড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা হয়েছিল । শুধু তাই নয়, যুবকের যৌনাঙ্গও ছিল ক্ষতবিক্ষত ।সাতসকালে হাড়হিম করা সেই দৃশ্য দেখে আঁতকে উঠেছিল মালিয়াকপুর গ্রাম । তখন যুবকের পরিচয় না-মিললেও দু'দিনের মাথায় পুলিশ ওই যুবকের পরিচয় জানতে পারে । বারাসত মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মর্গে এসে দেহটি শনাক্ত করেন যুবকের স্ত্রী ও তাঁর পরিবারের লোকজন ।

জানা যায়, দেহটি গাইঘাটার আঙুলকাটা গ্রামের হজরত লস্করের । এরপর তদন্ত শুরু হতেই সামনে আসে একের পর এক রহস্য । তদন্তে কখনও উঠে এসেছে ত্রিকোণ প্রেম, পরকীয়ার মতো সম্পর্ক । আবার কখনও উঠে এসেছে ব‍্যক্তিগত আক্রোশও । তাই, আপাতত ধৃত জলিলকে জেরা করেই দত্তপুকুর-কাণ্ডে রহস্য ভেদ করতে মরিয়া বারাসত জেলা পুলিশ ।

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.