বাঁশবেড়িয়া, 13 ফ্রেব্রুয়ারি: ‘‘শিল্পের জন্য 1400 কোটি টাকা, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের জন্য 800 কোটি টাকা আর মাদ্রাসার জন্য 5600 কোটি টাকা ।সরকারি স্কুলগুলি বন্ধ করে দিয়ে মাদ্রাসা খুলতে চাইছেন ? তাহলে স্কুলগুলিকে দিয়ে দিন ৷ যেখানে ছাত্র নেই, শিক্ষক নেই তাহলে সেখানেই মাদ্রাসাই চলুক । কেউ সরকারি স্কুলে যায় না । এবার মাদ্রাসা স্কুল হবে আর বাংলাদেশ হবে, সেদিকেই নিয়ে যাচ্ছেন ।’’ রাজ্য বাজেটের পরদিন তৃণমূল সরকারকে এভাবেই আক্রমণ করলেন বিজেপি নেতা দিলীপ ঘোষ ।
বৃহস্পতিবার হুগলির ত্রিবেণীর কুম্ভে ঝাউতলা কালীবাড়ির ঘাটে স্নান করতে আসেন দিলীপ ঘোষ । এরপরেই বাজেট নিয়ে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি বলেন, ‘‘বাংলার বাড়িতে 16 লক্ষ উপভোক্তার জন্য 9 হাজার 600 কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে রাজ্য বাজেটে । রেশিও মেনে কেন্দ্র সব রাজ্যকে দিচ্ছে । অন্য রাজ্য 50-52 শতাংশ ডিএ দিচ্ছে । আপনারা 18 শতাংশ ডিএ দিচ্ছেন । নেওয়ার বেলায় এগিয়ে বাংলা, রোজ মিটিং মিছিলে বলছেন মোদি দিচ্ছে না । আর দেওয়ার বেলায় হাত উলটে রাখবেন, পিছিয়ে বাংলা ।’’
দিলীপ বলেন, ‘‘সাধারণ মানুষের জন্য উন্নয়ন করুন, শিল্প করুন ৷ কিন্তু, যদি শিল্প চান, তাহলে কেন মাত্র 1400 কোটি টাকা দিচ্ছেন ? বেশি করে দিন, তাহলে তো শিল্প হবে । ওনারা জানেন কোনও শিল্প হবে না, কেউ আসবে না ৷ বছরে একটা সামিট করে ছবি-টবি তুলে দেখিয়ে দিলাম যে আমরা চেষ্টা করছি ।’’
লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নিয়ে কোনও ঘোষণা নেই বাজেটে । সেই প্রসঙ্গেও মুখ্যমন্ত্রীকে তোপ দাগেন দিলীপ ঘোষ । বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার বিনা বরাদ্দেই হয়েছিল, সেটা এখনও চালিয়ে যাচ্ছেন । 2026 সালের আগে হয়তো সেই বরাদ্দ আবার বাড়বে । নির্বাচনের আগে যে বাজেট হবে, সেই বাজেটে বরাদ্দ বাড়ানো হবে । গঙ্গাসাগর ব্রিজের জন্য 500 কোটি টাকা, ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানের জন্য 500 কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে । মুখ্যমন্ত্রীর 14 বছর হয়ে যাওয়ার পর টাকা বরাদ্দের কথা বলছেন ৷ যদি ইচ্ছা থাকে, তাহলে আগে করেননি কেন । কেন্দ্র তো টাকা দিতে চায় । মাস্টার প্ল্যান আটকে আছে 1200 কোটি টাকার জন্য । আপনি আপনার হিসাবের টাকাটা দিচ্ছেন না কেন । 500 কোটি টাকা দিয়ে আটকে রেখে দিলেন ৷ কবে হবে পুরোটা ? সামনের বার আপনি থাকবেন কি না ঠিক নেই । গঙ্গাসাগর ব্রিজের জন্য কত কোটি টাকা খরচা হবে ? আপনি দিচ্ছেন মাত্র 500 কোটি টাকা ৷ কী হবে তাতে ? লুট হয়ে যাবে টাকা । ইচ্ছা থাকলে আপনি আগেই করতে পারতেন ।’’
72 লক্ষ লোকের বাড়ি করার জন্য টাকা পাঠাচ্ছে কেন্দ্র ৷ তার 40 শতাংশ যদি আপনি দেন, তাহলে 72 লক্ষ লোক বাড়ি পায় । আর আপনি দিচ্ছেন 16 লক্ষ লোকের জন্য । বাকি লোকগুলি কী দোষ করল ? তাঁরা কেন পাবে না, আপনার রাজনীতির জন্য? অথচ কেন্দ্র টাকা পাঠাচ্ছে । আপনি সেগুলি মেরে দিয়েছেন । এতে বাংলার লোকই বঞ্চিত হচ্ছে ।’’