কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: জাতীয় গেমসের আসরে জিমন্যাস্টিকসে বাংলার জয়জয়কার। টিম ইভেন্টে সোনাজয়ের পরে আনইভেন বারসে বাংলাকে সোনা এনে দিলেন প্রণতি দাস। জয়নগরের মেয়ে প্রণতি স্কোর করলেন 10.300। মঙ্গলবার আর্টিস্টিক অলরাউন্ড ইভেন্টে রুপো জিতেছিলেন প্রণতি। সোনা জিতেছিলেন ওড়িশার হয়ে নামা বাংলার অলিম্পিয়ান প্রণতি নায়েক। তবে বুধবার আনইভেন বারসে প্রণতি নায়েককে পিছনে ফেলে সোনা জিতে নিলেন আরেক প্রণতি।
ইতিমধ্যে জোড়া সোনা এবং একটি রুপো প্রণতির ঝুলিতে। বৃহস্পতিবার পছন্দের বিম এবং ফ্লোর ইভেন্টে নামছেন ব্য়ারাকপুরের পুত্রবধূ। টুম্পা দেবনাথের কোচিংয়ে নিজেকে পরিশীলিত করা প্রণতি এখন বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের জন্য নিজেকে উজাড় করে দিতে চান। নিজের দুই প্রিয় ইভেন্টে সোনাজয়ের আশাও রয়েছে মনে। সেখানে সেরাটা পারফরম্যান্সকেই পাখির চোখ করছেন তিনি। জাতীয় গেমসের আগে বিভিন্ন জায়গায় অনুশীলনের জন্য ঘুরেছেন। শেষ পর্যন্ত টুম্পা দেবনাথ সল্টলেক সাইয়ে কোচ হিসেবে আসায় সমস্যা দূর হয় প্রণতির।
বাংলা এবং ওড়িশা জিমন্যাস্টিকস এরিনায় মুখোমুখি হলেই দুই প্রণতির একে অপরকে টেক্কা দেওয়ার ছবি দেখা যাচ্ছে। এ ব্য়াপারে বাংলার হয়ে সোনাজয়ী প্রণতি বলছেন, "প্রণতি নায়েক আমার অনুপ্রেরণা। আমরা দু'জনেই দু'জনের কাছের। বদলা, শত্রুতা এই শব্দগুলো আমাদের মধ্যে নেই। তবে প্রতিযোগিতায় ছাপিয়ে যাওয়ার একটা সুস্থ প্রতিযোগিতা রয়েছে। পরস্পরের ভুল-ঠিক নিয়েও আলোচনা করি ৷" আরও একজনকে নিয়ে উচ্ছ্বসিত প্রণতি। তিনি দীপা কর্মকার। ভারতীয় জিমন্যাস্ট মহলে অনুপ্রেরণার নাম 'প্রদুনোভা গার্ল'। জাতীয় গেমসের আসরে জিমন্যাস্টদের উৎসাহিত করার কাজ করছেন ত্রিপুরার মেয়ে। প্রণতির কথায়, "দীপাদি আমার অনুপ্রেরণা। সবসময় আমাকে গাইড করে। এখানেও নানাভাবে পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে যাতে ভালো হয় ৷"
অন্যদিকে দলগত বিভাগে সোনা জিতলেও টেবল টেনিসের ব্যক্তিগত ইভেন্টে হতাশ করেছেন মৌমা দাস, সুতীর্থা মুখোপাধ্য়ায়, রণিত ভঞ্জ, আকাশ পালরা। মিক্সড টিম ইভেন্টে সোনা জিতে সেই আক্ষেপ কিছুটা ঘোচালেন ঐহিকা মুখোপাধ্যায় এবং অনির্বাণ ঘোষ জুটি। সংখ্যা বেড়ে বাংলার ঘরে এখন 14টি সোনা।