কলকাতা, 13 ফেব্রুয়ারি: ম্যাচ আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেনি আইএফএ ৷ কিন্তু দল যে তাঁরা নামাবে না, তা আগেই জানিয়ে দিয়েছিল ডায়মন্ড হারবার এফসি ৷ কথামতই বৃহস্পতিবার দুপুরে কিশোরভারতী ক্রীড়াঙ্গনে লাল-হলুদ ফুটবলাররা নামলেও দল নিয়ে পৌঁছল না ডিএইচএফসি ৷ নির্ধারিত 30 মিনিট অপেক্ষার পর ম্য়াচ কমিশনার ম্যাচটিকে পরিত্যক্ত ঘোষণা করেন ৷ ম্যাচ কমিশনারের রিপোর্ট দেখে আইএফএ পরবর্তীতে ইস্টবেঙ্গলকে বিজয়ী ঘোষণা করবে ৷ তবে বিপক্ষ মাঠে না-আসায় তিন পয়েন্টের সঙ্গে সাত বছর পর ঘরোয়া লিগে লাল-হলুদ শিরোপা জিতল বলাই যায় ৷ তাও আবার অপরাজিত থেকে ৷
এ বিষয়ে ম্যাচ কমিশনার সুব্রত দাস বলেন, "আজ কলকাতা ফুটবল লিগের চ্যাম্পিয়নশিপ রাউন্ডের ম্যাচ ছিল ইস্টবেঙ্গল বনাম ডায়মন্ড হারবার এফসি'র। ম্যাচ আয়োজনের জন্য সমস্ত কিছু তৈরি ছিল। তবে ডায়মন্ড হারবার অংশ না-নেওয়ায় ম্যাচটি পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। আমি যা হয়েছে তার সম্পূর্ণ রিপোর্ট দেব। তারপর সিদ্ধান্ত আইএফএ'র।"
এই ম্যাচ প্রাথমিকভাবে নৈহাটিতে হওয়ার কথা থাকলেও ইস্টবেঙ্গলের আপত্তিতে তা কিশোরভারতীতে স্থানান্তরিত করা হয়। সেই ম্য়াচ খেলতে অস্বীকার করে ডায়মন্ড হারবার। 16 ফেব্রুয়ারি কিবু ভিকুনার দলের আই লিগ দ্বিতীয় ডিভিশনের ম্যাচ থাকায় এই ম্যাচ খেলতে চায়নি তাঁরা। শুধু তাই নয় ৷ আইএফএ আলোচনা করে আরএফডিএলের ম্যাচ পিছিয়ে দিলেও সমস্যা সমাধান হয়নি। লাল-হলুদ কোচ বিনো জর্জ বলছেন, "আমরা কোনও ম্যাচ হারিনি। অপরাজিত থেকে চ্যাম্পিয়ন হতে চেয়েছিলাম। আমরা আইএফএ'র নিয়ম মেনে থাকি। সেইজন্য খেলতে এসেছি। এবার আইএফএ সিদ্ধান্ত নেবে এই ব্যাপারে। আমরা পয়েন্টের নিরিখে সবার উপরে। অন্য দল খেলতে না-আসলে আমরা কী করতে পারি।"
বৃহস্পতিবারের ম্য়াচের আগে কলকাতা লিগের প্রিমিয়র ডিভিশনে 15 ম্যাচে 41 পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষে ছিল ইস্টবেঙ্গল। সমসংখ্যক ম্যাচে 39 পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয়স্থানে রয়েছে ডায়মন্ড হারবার। এই ম্যাচের তিন পয়েন্ট যোগ হলে ইস্টবেঙ্গলের পয়েন্ট হবে 44। ভবানীপুর ক্লাবও আগেই না-খেলার কথা জানিয়েছে। ফলে সেই ম্যাচের পয়েন্ট যোগ হলে ইস্টবেঙ্গল 47 পয়েন্টে শেষ করবে। আইএসএল বিপর্যয়ের মাঝে কলকাতা লিগ জয় আসন্ন মিনি ডার্বির আগে অক্সিজেন দেবে ইস্টবেঙ্গলকে। ফুটবলাররা তাই ম্যাচ বাতিল হতেই সিনিয়র দলের প্র্যাকটিসে যোগ দিতে ছুটলেন সল্টলেক স্টেডিয়াম দৌড়লেন। লাল-হলুদের চোখ এখন মর্যাদার মিনি ডার্বিতে।