বাঁকুড়া, 31 মে: জমিতে ঢ্যাঁড়শ তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু হল স্বামী-স্ত্রী'র ৷ কয়েক মাস ধরে তাপপ্রবাহের জেরে অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছিল বঙ্গজীবন। কয়েকদিন আগে ঘূর্ণিঝড় রেমালের জেরে বিভিন্ন জেলায় বৃষ্টি হলেও তারপরেই গরমে হাঁসফাঁস করছিল আমজনতা। কিন্তু বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা থেকে দক্ষিণবঙ্গের বেশ কয়েকটি জেলায় বৃষ্টি শুরু হওয়ায় স্বস্তিতে ফিরলেও ব্রজপাতে কাড়ল মানুষের প্রাণ। শুক্রবার ভোররাতে বাঁকুড়ার বড়জোড়া থানা এলাকার ঘুটগড়িয়া গ্রাম পঞ্চায়েতের নতুনগ্রামের ঘটনা।
সবজি তুলতে গিয়ে বজ্রপাতে মৃত্যু দম্পতির - Died Dur to Lightning - DIED DUR TO LIGHTNING
Couple Died in Lightning: জমিতে ফসল তুলতে যাওয়ায় কাল হল! বজ্রাঘাতে প্রাণ গেল স্বামী-স্ত্রী'র ৷ আচমকাই বজ্রপাতে সবজির জমিতেই লুটিয়ে পড়েন ওই দম্পতি। মৃতদেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠিয়েছে বড়জোড়া থানার পুলিশ ৷
Published : May 31, 2024, 1:47 PM IST
|Updated : May 31, 2024, 2:28 PM IST
মৃতদের নাম নীরদ সাঁতরা (64) ও তারারানি সাঁতরা (57)। সম্পর্কে তাঁরা স্বামী-স্ত্রী। স্থানীয় সূত্রে খবর, পেশায় কৃষক নীরদ সাঁতরা জমিতে ঢ্যাঁড়শ চাষ করেছিলেন। এদিন ভোরে বৃষ্টির মধ্যেই তাঁরা স্বামী-স্ত্রী দু'জনে ঢ্যাঁড়শ তুলতে গিয়েছিলেন। সেখানেই বজ্রপাতে প্রাণ হারান। পরে গ্রামের মানুষ বিষয়টি জানতে পেরে চাষের জমি থেকে তাঁদের উদ্ধার করে বড়জোড়া সুপার স্পেশালিটি হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকরা দু'জনকেই মৃত ঘোষণা করেন। বজ্রপাতে দম্পতির মর্মান্তিক মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া ৷
খবর পেয়ে হাসপাতালে যান স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের বিধায়ক অলোক মুখোপাধ্যায়। শোকস্তব্ধ পরিবারের সদস্যদের সমবেদনা জানান তিনি। পরিবারের পাশে থাকারও আশ্বাস দেওয়ার পাশাপাশি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী পরিবারটিকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বিধায়ক। মৃ্তের এক আত্মীয় জানান, এদিন ভোরবেলা খবর পান তিনি ৷ তখন তিনি বাড়ি ছিলেন না ৷ খবর পেয়ে এসে দেখেন, জমিতেই পড়ে রয়েছে দেহ দু'টি ৷ পুলিশের পক্ষ থেকে অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা করে ঘটনার তদন্ত শরুর হয়েছে ৷ পাশাপাশি, মৃতদেহ দু'টি ময়নাতদন্তের জন্য বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়েছে ৷