পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / state

বাংলায় 'বুলডোজার সংস্কৃতি' নয়, পরিবেশ আদালতের নির্দেশে হোটেল ভাঙার বিজ্ঞপ্তিতে ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী

জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশের পর 20 নভেম্বরের মধ্যে মন্দারমণি সৈকত সংলগ্ন বেআইনি নির্মাণ সরাতে বিজ্ঞপ্তি জেলা প্রশাসনের ৷ সেই বিজ্ঞপ্তির বিরুদ্ধে সরব হলেন মুখ্যমন্ত্রী ৷

CM ON NATIONAL GREEN TRIBUNAL ORDER
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ৷ (ফাইল চিত্র)

By ETV Bharat Bangla Team

Published : 4 hours ago

কলকাতা, 19 নভেম্বর: উত্তরপ্রদেশের বুলডোজার সংস্কৃতি চলবে না বাংলায় ৷ মন্দারমণির বেআইনি নির্মাণ ভাঙা নিয়ে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে এমনই মন্তব্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৷ মুখ্যসচিবের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা পরামর্শ না-করে, এই নির্দেশ বলে আজ নবান্নে জানান তিনি ৷

উল্লেখ্য, সম্প্রতি জাতীয় পরিবেশ আদালত একটি রায় ঘোষণা করেছে মন্দারমণির সমুদ্রের ধারে গড়ে ওঠা 144টি নির্মাণ নিয়ে ৷ সেই নির্মাণগুলিকে বেআইনি ঘোষণা করা হয়েছে ৷ সেই নির্দেশ মতো পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন 20 নভেম্বরের মধ্যে সেই বেআইনি নির্মাণ সরিয়ে নিতে নির্দেশ দিয়েছে ৷ হোটেল ও রিসর্ট কর্তৃপক্ষগুলির কাছে সেই নির্দেশিকা পৌঁছে গিয়েছে ৷

কিন্তু, পরিবেশ আদালতের নির্দেশিকা কার্যকরী করতে গিয়ে, এবার মুখ্যমন্ত্রীর রোষের মুখে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসন ৷ মঙ্গলবার নবান্নে মমতা বলেন, "কোনোরকম বুলডোজার চলবে না বাংলায় ৷ মুখ্যসচিবের সঙ্গে কোনও আলোচনা বা পরামর্শ ছাড়াই এই নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন ৷" উল্লেখ্য, উত্তরপ্রদেশ-সহ বিজেপি শাসিত একাধিক রাজ্যে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নির্মাণ ভাঙতে বুলডোজার চালানোর অভিযোগ উঠেছে বহুবার ৷

সেই প্রসঙ্গ টেনেই মমতা মন্দারমণির হোটেল ভাঙার নির্দেশের বিরোধিতা করেছেন ৷ নবান্নকে অন্ধকারে রেখে কেন জেলা প্রশাসন পদক্ষেপ করেছে, সেই প্রশ্ন তুলেছেন তিনি ৷ তবে, এ নিয়ে নবান্ন থেকে পূর্ব মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনের কাছে কোনও নির্দেশিকা গিয়েছে কি না, তা জানা যায়নি ৷

কিন্তু, বিষয় হল মন্দারমণির বেআইনি হোটেল ভাঙার বিজ্ঞপ্তি জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশে জারি করে প্রশাসন ৷ সেক্ষেত্রে রাজ্য সরকার এ ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ করে, সেটাও দেখার বিষয় ৷ এই নিয়ে তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, "এই কাজটা করে গিয়েছে সিপিআইএম ৷ যার জন্য ভুগতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে ৷ আইন মেনে যদি এই 144টি হোটেল ভেঙে দেওয়া হয়, তাহলে শুধু হোটেল ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না, কর্মহীন হবেন সেখানে কাজ করা কর্মচারীরা ৷ আর সেই হোটেলকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা ব্যবসার সঙ্গে জড়িতরাও ক্ষতিগ্রস্ত হবেন ৷"

ABOUT THE AUTHOR

...view details