ঝাড়গ্রাম, 9 অগস্ট: জেলায় পর্যটনের গুরুত্ব বাড়াতে ঝাড়গ্রামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের মঞ্চ থেকে বড়সড় ঘোষণা করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি জানিয়েছেন, ঝাড়গ্রামের 64 একর জায়গায় প্রায় 10 কোটি টাকা ব্যয়ে উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারি পার্কের আদলে তৈরি করা হবে টাইগার সাফারি । ফলে পর্যটকদের কাছে ঝাড়গ্রামে ঘুরতে আসার চাহিদা আরও বাড়বে বলে মনে করা হচ্ছে ৷
ঝাড়গ্রামে তৈরি হবে টাইগার সাফারি (ইটিভি ভারত) শহর লাগোয়া ঝাড়গ্রাম জেলা পুলিশ লাইনের পাশেই রয়েছে জঙ্গলমহল জুলজিক্যাল পার্ক । পার্ক হওয়ার পরেই উত্তরবঙ্গ থেকে নিয়ে আসা হয়েছিল চিতাবাঘ। জঙ্গলের মধ্যে চিতাবাঘের ভালোই বংশবিস্তার হয় । পরে বেশ কয়েকটি পূর্ণবয়স্ক চিতাবাঘ উত্তরবঙ্গে পাঠানো হয় । সেই বিষয়টি নজরে রেখেই ঝাড়গ্রামের জঙ্গল বাঘের বসবাসের উপযুক্ত বলেই মনে করছে বন দফতর ৷
কেবলমাত্র শীত বা দুর্গাপুজোর সময় নয়, সারা বছরই পর্যটক আসেন ঝাড়গ্রামে । অরণ্য সুন্দরী ঝাড়গ্রামে শাল জঙ্গল ও পাহাড় দেখার পাশাপাশি পর্যটকদের কাছে টাইগার সাফারিও একটি চাহিদা হয়ে উঠবে বলে আশাবাদী সকলে । শুক্রবার দুপুরে ঝাড়গ্রাম স্টেডিয়ামে বিশ্ব আদিবাসী দিবসের অনুষ্ঠান মঞ্চ থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, "আপনাদের এখানে ছোট্ট একটি চিড়িয়াখানা আছে তাই তো? আমি আগামিদিনে আরও বেশি করে পর্যটকদের আকর্ষণ করার জন্য ঝাড়গ্রাম চিড়িয়াখানার উল্টোদিকে যে 64 একর জমি রয়েছে তাতে একটা টাইগার সাফারি চালু করব ৷ 10 কোটি টাকা দিয়ে । যাতে অনেক ট্যুরিস্ট এসে দেখতে পায় । উত্তরবঙ্গের শিলিগুড়িতে আমরা যেভাবে করেছি সেভাবে এখানেও করে দেওয়া হবে ।"
এই ঘোষণার পরে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীরবাহা হাঁসদা বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা চিড়িয়াখানাকে সাজিয়ে তুলছি । প্রতিবছর এখানে এত পরিমাণে পর্যটক আসেন ৷ দেখার মতো কিছু না দিতে পারলে তাঁরা আর আসবেন না । পর্যটকদের কথা ও এলাকার মানুষের রোজগারের কথা মাথায় রেখে চিড়িয়াখানাকে বড় করার পাশাপাশি উত্তরবঙ্গের বেঙ্গল সাফারির আদলে টাইগার সাফারি তৈরি করা হবে । আমার তরফ থেকে ঝাড়গ্রামের মানুষের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এটা দাবি ছিল ৷ আজকে পূরণ হওয়ায় আমি অত্যন্ত খুশি ।"