কলকাতা, 13 মে: বউবাজার বিস্ফোরণ মামলার অন্যতম অভিযুক্ত রশিদ খানকে মেয়াদ শেষের আগে মুক্তি দেওয়া যায় কি না, কলকাতা হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ গ্রীষ্মকালীন অবকাশের পর বিবেচনা করবে। ইতিমধ্যেই 31 বছর জেল খেটেছে রশিদ ৷ টাডা আইনে তার যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছিল। মূলত, অভিযুক্তের বয়স, তার কোনওরকম অসামাজিক লোকজনের সঙ্গে এখনও যোগাযোগ আছে কিনা, রশিদ খানকে মুক্তি দিলে সমাজে কী ধরনের প্রভাব পড়তে পারে, এই সমস্ত বিষয় খতিয়ে দেখবে কলকাতা হাইকোর্ট।
তবে 24 জুন পর্যন্ত তার সহকারী মহম্মদ খালিদকে ছাড়ার সিঙ্গেল বেঞ্চের নির্দেশের উপর স্থগিতাদেশ জারি করেছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ।
আপাতত রশিদের মামলাটি শুনানির জন্য গ্রহণ করেছে প্রধান বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। এপ্রিল মাসে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্যের বেঞ্চ বউবাজার বোমা বিস্ফোরণ মামলায় অভিযুক্ত মহম্মদ খালিদকে 31 বছর পর মুক্তির নির্দেশ দিয়েছিল। সেই নির্দেশ উল্লেখ করেই রাশিদ খানেরও মুক্তির আর্জি জানানো হয় হাইকোর্টে।
উল্লেখ্য, 1993 সালের 16 মার্চ রাতে 267 বিবি গাঙ্গুলি স্ট্রিটের দোতলা একটি বাড়ি ভয়ঙ্কর বিস্ফোরণে গুঁড়িয়ে যায়। মৃত্যু হয় 69 জনের। সেই মামলায় কলকাতার সাট্টা কারবারের ‘বেতাজ বাদশা’ রশিদ খানের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়। বলা হয়, রশিদ খানের কাছে যে পরিমাণ বিস্ফোরক ছিল, তা গোটা কলকাতা উড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মহম্মদ খালিদ সেই রশিদেরই ছায়াসঙ্গী। ওই মামলায় তাকেও যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেয় আদালত। কয়েক বছর আগে খালিদ জেল থেকে মুক্তি পাওয়ার দাবিতে রাজ্য সরকারের ‘সেনটেন্স রিভিউ বোর্ডে’ আবেদন করে। সেই আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এরপর কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হলে বিচারপতি সব্যসাচী ভট্টাচার্য তাকে এপ্রিল মাসে 15 দিনের মধ্যে ছাড়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু রাজ্যের তরফে সেই নির্দেশ কার্যকর করার ক্ষেত্রে আইনি জটিলতা রয়েছে দাবি করে এক মাসের জন্য নির্দেশ কার্যকর করার উপর স্থগিতাদেশ জারি করা হয়।