দেগঙ্গা, 4 ফেব্রুয়ারি: মহিলাদের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে দুঃসাহসিক ডাকাতি। আলমারি ভেঙে কয়েক ভরি সোনার গয়না ও নগদ 1 লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দিল দুষ্কৃতীরা। সোমবার রাতে এমনই ঘটনা ঘটেছে উত্তর 24 পরগনার দেগঙ্গা থানার সোহাই শ্বেতপুর এলাকায়।
গত ডিসেম্বর মাসেও দেগঙ্গায় ঠিক একই কায়দায় তৃণমূলের এক পঞ্চায়েত সদস্যের বাড়িতে দুঃসাহসিক ডাকাতির ঘটনা ঘটেছিল। মাস ঘুরতেই সেই দেগঙ্গাতেই আবারও ঘটল ডাকাতির ঘটনা। পরপর ডাকাতির ঘটনায় রীতিমতো আতঙ্কিত বাসিন্দারা। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এদিন রাত 8টা নাগাদ দেগঙ্গার সোহাই-শ্বেতপুর পঞ্চায়েতের নুনেরআটি গ্রামে ইব্রাহিম দফাদার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতে হানা দেয় বাইক আরোহী একদল দুষ্কৃতী।
বাড়িতে ঢুকেই ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের মহিলা সদস্যদের উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। বাড়িতে তখন কোনও পুরুষ সদস্য ছিলেন না। যার ফলে মহিলাদের গলায় ধারালো অস্ত্র ঠেকিয়ে অবাধে চলে লুটপাট। আলমারি ভেঙে দুষ্কৃতীরা কয়েক ভরি সোনার গয়না ও নগদ প্রায় 1 লক্ষ টাকা নিয়ে চম্পট দেয় এলাকা থেকে। ঘটনার কথা জানাজানি হতেই তীব্র চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় দেগঙ্গা থানার পুলিশ। তারা ওই ব্যবসায়ীর পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ লিপিবদ্ধ করে। কথা বলে তথ্যও নেওয়া হয় তাঁদের কাছ থেকে।
তবে, তদন্ত শুরু হলেও এখনও পর্যন্ত কাউকেই পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, ঘটনার সময় ইব্রাহিম বাড়িতে না-থাকলেও তাঁর নাম ধরে ডাকায় সহজেই বাড়ির সদর দরজা খুলে দিয়েছিলেন তাঁর স্ত্রী ও পুত্রবধূ। আর তখনই আসল চেহারা প্রকাশ পায় দুষ্কৃতীদের। তাদের প্রত্যেকের মুখ কালো মাস্ক দিয়ে ঢাকা ছিল। ফলে, কাউকেই সেভাবে চেনা যায়নি। এদিকে, আগের ডাকাতির ঘটনার সঙ্গে এদিনের ডাকাতির কোনও যোগসূত্র আছে কি না, তা খতিয়ে দেখছে দেগঙ্গা থানার পুলিশ। সেই সঙ্গে দুষ্কৃতীদের খোঁজেও চলছে তল্লাশি।