কলকাতা, 8 নভেম্বর: খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অভিযুক্ত তথা নিষিদ্ধ সংগঠন জেএমবি সদস্য আবদুল কালিম ওরফে আজাদকে জামিন দিল কলকাতা হাইকোর্ট । 2014 সালের বিস্ফোরণের ঘটনায় 2016 সালে কলকাতা পুলিশ জঙ্গি সংগঠনের সদস্য হিসেবে চিহ্নিত আজাদকে গ্রেফতার করে । বিচারপতি জয়মাল্য বাগচীর ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ, ইতিমধ্যেই আট বছর জেল খেটেছে অভিযুক্ত । ট্রায়াল শুরু হলেও অদূর ভবিষ্যতে কবে বিচার শেষ হবে তা অজানা । সেই জন্যই আদালত তার জামিন মঞ্জুর করছে ।
আদালত সূত্রে জানা গিয়েছে, 2014 সালে বর্ধমানের খাগড়াগড় বিস্ফোরণের ঘটনায় একে একে মোট 31 জন গ্রেফতার হয় । তার মধ্যে অন্যতম অভিযুক্ত ছিল আবদুল কালিম । 2016 সালে কালিমের বিরুদ্ধে নতুন করে এসটিএফের আধিকারিক মৃত্যুঞ্জয় মণ্ডল একটি অভিযোগ দায়ের করেন ।কারণ তাদের কাছে খবর ছিল বাংলাদেশের জঙ্গি সংগঠন জেএমবি-র সঙ্গে যুক্ত কালিম । এই সংগঠনের বেশ কিছু সদস্য উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন অংশে নাশকতামূলক কাজ করার উদ্দেশ্য নিয়ে বাংলাদেশ থেকে পশ্চিমবঙ্গে ঢোকার পরিকল্পনা করেছে । প্রচুর পরিমাণ বিস্ফোরক নিয়ে তাদের ভারতে ঢোকার পরিকল্পনা রয়েছে । অসমে গ্রেফতার হওয়া জবিরুল ইসলাম নামে এদেরই আর এক সদস্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উঠে এসেছে এই তথ্য ।
বিচারের দীর্ঘসূত্রিতা, খাগড়াগড় বিস্ফোরণে অন্যতম অভিযুক্তকে জামিন কলকাতা হাইকোর্টের
আট বছর জেল খাটার পর খাগড়াগড়কাণ্ডের অভিযুক্তকে জামিনে মুক্তির ঘোষণা করল কলকাতা হাইকোর্ট ৷ এর পিছনের কারণও দিল ডিভিশন বেঞ্চ ৷
Published : Nov 8, 2024, 7:07 PM IST
সেই ভিত্তিতেই কলকাতা পুলিশ গ্রেফতার করেছিল আবদুল কালিমকে । কিন্তু দীর্ঘদিন অতিক্রান্ত হলেও এর কোনও তদন্ত হয়নি বলে মনে করছেন বিচারপতি জয়মাল্য বাগচি ও বিচারপতি গৌরাঙ্গ কান্তের ডিভিশন বেঞ্চ ।
প্রসঙ্গত, 2014-র 2 অক্টোবর বর্ধমান শহর সংলগ্ন খাগড়াগড়ে একটি বাড়িতে বিস্ফোরণ ঘটে । ওই ঘটনায় দু'জন প্রাণ হারায় । এরপর পুলিশ, সিআইডি-র হাত ঘুরে তদন্তভার নিজেদের হাতে নেয় এনআইএ । গ্রেফতার করা হয় 31 জনকে । চার্জ গঠন ও ট্রায়াল শুরু হয় 2015 সাল থেকে । এনআইএ সূত্রে খবর, মোট 800 জনের সাক্ষ্য নেওয়া হয়েছে । কিন্তু তদন্ত প্রক্রিয়া এখনও সম্পন্ন হয়নি । তাতেই এদিন ডিভিশন বেঞ্চের পর্যবেক্ষণ বিচার কবে শেষ হবে ঠিক নেই ।