কলকাতা, 4 এপ্রিল: মতুয়া মহাসংঘের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে? এই নিয়ে শান্তনু ঠাকুরের দায়ের করা মামলায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলে ফ্রিজ করা ব্যাংক অ্যাকাউন্ট শর্ত সাপেক্ষে খুলে দেওয়ার নির্দেশ হাইকোর্টের। বিচারপতি রাজা শেখর মান্থার বক্তব্য, রাজনৈতিক প্রতিহিংসাই এই শত্রুতা বাড়ার মূল কারণ বলে মনে করে আদালত। দু'পক্ষই যেহেতু রাজনৈতিক ভাবে দু'টি ভিন্ন মেরুতে রয়েছে, সেখানে ক্ষমতায় বসা নিয়ে এই দ্বন্দ্ব অস্বাভাবিক নয়।
গাইঘাটা থানা অভিযোগ পাওয়ার পরে নূন্যতম অনুসন্ধান করার চেষ্টা করেনি। সরাসরি এফআইআর করা বেশি সহজ মনে করেছে। শুধু তাই নয়, সব ধারা একসঙ্গে জুড়ে দিয়েছেন বলেও আদালতের কটাক্ষ করে। আদালত মনে করে এটা বেআইনি এফআইআর। তার ভিত্তিতে কী করে অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ হল, সেটা প্রশ্ন।
তিনি আরও জানান, আদালত এটার মধ্যে বেনিয়ম দেখছে। এমন কি আয়কর দফতর থেকে পুলিশ কোনও তথ্য সংগ্রহ করেনি। যে সব তথ্য এই আদালতে প্রথমবার আয়কর দফতর দিল। কোর্টের যথেষ্ট সন্দেহ এফআইআর করার ক্ষেত্রে পুলিশের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করা মূল লক্ষ্য ছিল কি না তাই নিয়ে। ওই অ্যাকাউন্ট খুলে দেওয়া হবে। মামলাকারী, ওই অ্যাকাউন্ট আগামী দিনে ব্যবহার করলে প্রতিটি পাই পয়সার হিসেব রাখতে হবে। তার হিসেব দিতে হবে থানাকে। তার আগে ব্যাংক গ্যারান্টি হিসাবে অ্যাকাউন্টের সম পরিমাণ আনুমানিক দেড় কোটি টাকা জমা দিতে হবে হাইকোর্ট রেজিস্ট্রারের কাছে। তিন সপ্তাহের মধ্যে হলফনামা দেবে সব পক্ষ।
উল্লেখ্য, মতুয়া সম্প্রদায়ের মহাসংঘের দায়িত্ব কার হাতে থাকবে সেই নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর। সেই মামলায় মমতা বালা ঠাকুরের দায়ের করা এফআইআরের ভিত্তিতে শান্তনু ঠাকুরের বিরুদ্ধে কোনও কঠোর পদক্ষেপ না-নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি জয় সেনগুপ্ত। একইসঙ্গে আয়কর দফতরকে মামলায় যুক্ত করার নির্দেশ দেওয়া হয়।