কলকাতা, 18 নভেম্বর:ব্যারাকপুর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা অমান্য। কলকাতা হাইকোর্টের নির্দেশ, অভিযুক্তকে রাঁচি থেকে গ্রেফতার করে নিম্ন আদালতে হাজির করতে হবে । সোমবার সিআইডিকে এমনই নির্দেশ দেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ ৷
আবেদনকারী পার্থ কর্মকার রাঁচির বাসিন্দা দেবব্রত সেনকে ব্যক্তিগত ঋণ দেন। বিভিন্ন সময় তাঁকে সেই অর্থ প্রদান করেন । মোট ঋণের পরিমাণ দাঁড়ায় 22 লক্ষ টাকা । দেবব্রত সেন সেই ঋণ চেকের মাধ্যমে প্রদান করেন। কিন্তু সেই চেক বাউন্স হওয়ায় ব্যারাকপুর আদালতে মামলা হয়। 2021 সাল থেকে দু'বার আদালত সমন জারি করে । কিন্তু দেবব্রত সেন আদালতে হাজির না হওয়ায় নিম্ন আদালতে বিচার প্রক্রিয়া থমকে যায় । পরে একাধিকবার গ্রেফতারি পরোয়ানাও জারি হয় ।
প্রায় চার বছর ধরে গ্রেফতারি পরোয়ানা অমান্য, অভিযুক্তকে ধরে আনতে সিআইডিকে নির্দেশ হাইকোর্টের - CALCUTTA HIGH COURT
প্রথমে 22 লক্ষ টাকার প্রতারণা ৷ পরে একাধিকবার ব্যারাকপুর আদালতের গ্রেফতারি পরোয়ানা অমান্য করার অভিযোগ ৷ শেষমেশ অভিযুক্তকে গ্রেফতারের নির্দেশ দিল কলকাতা হাইকোর্ট ৷
![প্রায় চার বছর ধরে গ্রেফতারি পরোয়ানা অমান্য, অভিযুক্তকে ধরে আনতে সিআইডিকে নির্দেশ হাইকোর্টের Calcutta High Court](https://etvbharatimages.akamaized.net/etvbharat/prod-images/18-11-2024/1200-675-22928442-thumbnail-16x9-calhc.jpg)
Published : Nov 18, 2024, 10:55 PM IST
কলকাতা হাইকোর্টে মামলার সূত্রে জানা যায়, মামলাকারী কখনও নগদ আবার কখনও ব্যাঙ্ক ট্রান্সফারের মাধ্যমে মোট 22 লক্ষ টাকা দেন দেবব্রত সেনকে । টাকা ফেরাবার কথা বলে দেবব্রত 2020 সালের 24 ডিসেম্বর রাঁচির এলাহাবাদ ব্যাঙ্কের ঠিকানার একটি চেক দেন । পার্থবাবু সেটি অ্যাক্সিস ব্যাঙ্কের পানিহাটি শাখায় ডিপোজিট করেন । কিন্তু দেবব্রত সেনের অ্যাকাউন্টে পর্যাপ্ত টাকা না থাকায় 2021 সালের 18 জানুয়ারি চেকটি বাউন্স করে ৷ এরপর আইনজীবী মারফত পার্থবাবু চিঠি দেন তাঁকে ৷ কিন্তু তাতেও কোনও সুরাহা মেলেনি । এরপর ব্যারাকপুর আদালতে মামলা হয় ।
2021 সাল থেকে আদালতে নির্দেশ অমান্য করতে শুরু করেন দেবব্রত সেন ৷ পরে সাত-আটবার তাঁর বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি হয় । কিন্তু পুলিশের দিক থেকেও ব্যবস্থা না নেওয়ার অভিযোগ ওঠে । সোমবার বিচারপতি তীর্থঙ্কর ঘোষ সিআইডিকে নির্দেশ দেন দেবব্রত সেনকে ধরে আনতে ।