কলকাতা, 12 মার্চ: সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশের পরেই রাজভবনে বৈঠকে বসলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু ও রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। মঙ্গলবারের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন শিক্ষা দফতরের সচিব মনীশ জৈন। দু'পক্ষের প্রায় দেড় ঘণ্টার বৈঠক হয় । তবে এদিন বৈঠকের পর মন্ত্রী ব্রাত্য বসু, ও রাজভবনের তরফে কোনও কিছুই জানানো হয়নি ।
সূত্রের খবর, রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়েই দীর্ঘদিন আলোচনা হয়েছে । ম্যাকাউট, বর্ধমান-সহ একাধিক বিশ্ব বিদ্যালয়ের নানান সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে উপাচার্য না থাকায় । সার্বিক ভাবে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রিপোর্ট তৈরি করতে আজকের বৈঠক হয় । সূত্রের দাবি, আজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত মামলায় শীর্ষ আলদাত জানতে চায় যে, আচার্য তথা রাজ্যপাল ও রাজ্য উচ্চ শিক্ষা দফতরের উদ্যোগে দ্রুত সমস্যা সমাধান সংক্রান্ত বিষয়ে কী পদক্ষেপ করা হয়েছে ?
এর আগে আদালতের নির্দেশের পর গত 24 জানুয়ারি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যপাল এই বিষয়ে বৈঠক করেছিলেন । রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে সেই বৈঠক সৌজন্যমূলক হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পরের দিন 25 জানুয়ারি রাজ্যপালকে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, "ভিসি নিয়োগে সরকার কোনও ভাবে হস্তক্ষেপ করতে পারে না । উপাচার্য নিয়ে কিছু আইনি পরামর্শ দরকার আছে । সেই বিষয় এখন সুপ্রিম কোর্টে রয়েছে । সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ অনুযায়ী উপাচার্য দের আচার্য্য নিয়োগ করেন। সরকারের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও ভূমিকা নেই ।"
সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ: আচার্য তথা রাজ্যপাল ও রাজ্যের উচ্চ শিক্ষা দফতরকে দ্রুত সিদ্ধান্ত নিতে হবে কীভাবে উপাচার্য নিয়োগ করা যায় ৷ একটি পরিকল্পনা তৈরি করে শীর্ষ আদালতে জমা দিতে হবে ৷ শুনানিতে শীর্ষ আদালত জানতে চায়, উপাচার্য নিয়োগ সংক্রান্ত পরিকল্পনা কতটা ফলপ্রসূ হয়েছে ৷ এদিন আইনি পরামর্শদাতাদের সঙ্গে আলোচনা করেন রাজ্যপাল। তারপরে আবার আজ বৈঠক, যা যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে ।
আরও পড়ুন:
- 'আদালতের রায় অনুযায়ী ভালোভাবে আলোচনা হয়েছে', রাজভবন থেকে বেরিয়ে বললেন মমতা
- 'আমার নির্দেশেই বিশ্ববিদ্যালয়গুলি টাকা দিচ্ছে, ভুল কিছু নেই', দাবি রাজ্যপালের
- রাজ্যপালের মামলার খরচ জোগাচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয়গুলি! ইতিমধ্যেই টাকা পৌঁছেছে যাদবপুর-কলকাতার