কলকাতা, 9 অগস্ট: আরজি কর হাসপাতালে তরুণী পড়ুয়া চিকিৎসকের দেহের ময়নাতদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে একাধিক বিষয় সামনে এসেছে ৷ আর যা ঘিরে রীতিমতো চাঞ্চল্য পড়ে গিয়েছে ৷ লালবাজার সূত্রে খবর, ওই তরুণী চিকিৎসকের দেহে একাধিক আঘাতের প্রমাণ মিলেছে। এমনকী তাঁর যৌনাঙ্গেও মিলেছে ক্ষত চিহ্ন ৷
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের দেহ ময়নাতদন্তের পর রাতেই এসেছে প্রাথমিক রিপোর্ট ৷ আর সেই রিপোর্টে স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, ওই তরুণীর গলার হাড় ভাঙা ছিল। ধস্তাধস্তির প্রাথমিক প্রমাণও পাওয়া গিয়েছে। লালবাজার সূত্রে খবর, ভোর তিনটে থেকে চারটের মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ওই তরুণী চিকিৎসকের। গলায় মিলেছে রক্তের দাগ ৷ পাশাপাশি, ওই চিকিৎসকের যৌনাঙ্গে ক্ষতের চিহ্ন মিলেছে। অর্থাৎ, তদন্তকারীরা প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত যে ওই মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসকের মৃত্যু নিশ্চিত করতে তার গলা টিপে ধরা হয়েছিল। তদন্তকারীরা এক প্রকার নিশ্চিত যে ওই মহিলার সঙ্গে ধস্তাধস্তি হয়েছিল। তবে, শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এখনও স্থানীয় থানায় কোনও মামলার রুজু করা হয়নি।
এই বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের এক উচ্চপদস্থ আধিকারিক বলেন, "আমরা এই বিষয়ে আরও ভালোভাবে তদন্ত শুরু করছি। ইতিমধ্যেই লালবাজারের তরফ থেকে গতকাল ওই মহিলার সঙ্গে যাঁরা কর্মরত ছিলেন তাদেরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। পারিপার্শ্বিক তথ্য-প্রমাণ জোগাড় করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ওই মহিলা পড়ুয়া চিকিৎসক ওইদিন কর্মরত অবস্থায় ছিলেন। রাত দুটোর পর তিনি রাতের খাবার খেয়ে উপরের সেমিনার হলে বিশ্রাম নিতে যান। তারপর এদিন সকালে চার তলা থেকে ওই চিকিৎসকের দেহ উদ্ধার হয় ৷"
আরজি কর হাসপাতালের তরুণী চিকিৎসকের অস্বাভাবিক মৃতদেহ উদ্ধার করে কেন্দ্র করে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ইমারজেন্সি বিল্ডিং-এর চারতলার সেমিনার হলে তাঁর দেহ দেখতে পাওয়া যায়। ওই মহিলা চিকিৎসকের গায়ে অজস্র দাগ ছিল বলে জানা গিয়েছে। অনুমান করা হচ্ছে, ওই মহিলাকে হত্যা করা হয়েছে ৷ হত্যার আগে তাঁর সঙ্গে শারীরিক নির্যাতন চালানো হয়েছে বলেও খবর মিলেছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছিলেন কলকাতা পুলিশের নগরপাল বিনীত গোয়েল-সহ কলকাতা পুলিশের উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা। সঠিক ঘটনাটি কী হয়েছিল তা জানার জন্য ইতিমধ্যেই আরজি কর হাসপাতালে সেমিনার হলের চার তলায় পৌঁছে গিয়েছেন কলকাতা পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি বিশেষ দল।