জলপাইগুড়ি, 9 নভেম্বর: মাদারিহাট বিধানসভার বিজেপি প্রার্থী রাহুল লোহারকে সঙ্গে নিয়ে প্রচারে গিয়েছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ রাজু বিস্তা ৷ কিন্তু, প্রচারের মাঝেই বিড়ম্বনায় পড়লেন বিজেপি সাংসদ ৷ সহকর্মী তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদ মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে ভুরি-ভুরি অভিযোগ নিয়ে বসলেন এক বিজেপি কর্মী ৷ এক সময় কেঁদে ফেলেন তিনি ৷ আর সেই বিড়ম্বনা সামাল দিতে না-পেরে, এলাকা ছাড়লেন রাজু বিস্তা !
শুক্রবার ঘটনাটি ঘটেছে বীরপাড়া-2 এর মাকরাপাড়ায় ৷ রাহুল লোহারের হয়ে প্রচারের মাঝেই বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের সঙ্গে বৈঠক করছিলেন দার্জিলিংয়ের সাংসদ ৷ সেখানেই এক বিজেপি কর্মী মাদারিহাটের প্রাক্তন বিধায়ক তথা আলিপুরদুয়ারের সাংসদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করলেন ৷
সাংসদ রাজু বিস্তার কাছে মনোজ টিগ্গার বিরুদ্ধে অভিযোগ ৷ (ইটিভি ভারত) অভিযোগ, মনোজ টিগ্গা কর্মীদের অবহেলা করেন ৷ এমনকি এলাকায় আসেন না ৷ সংসদীয় এলাকার সমস্যার কথা না-শোনা, এমন নানান অভিযোগ শোনা গেল ওই কর্মীর মুখে ৷ নিজেদের সমস্যার কথা বলতে গিয়ে কেঁদে ফেলেন ওই কর্মী ৷ সেই ভিডিয়ো এখন সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল ৷ এমনকি মাদারিহাট বিধানসভা উপনির্বাচনে দাঁড়ানো রাহুল লোহারকে কীভাবে দলীয় কর্মী-সমর্থকরা বিশ্বাস করবেন ? সেই প্রশ্নও তোলা হল ৷
বিজেপি কর্মী বলেন, "আমরা বিজেপির কর্মী ৷ নির্বাচনে মনোজ টিগ্গার জন্য প্রচুর পরিশ্রম করেছিলাম ৷ কিন্তু, ভোটে জেতার পর, মনোজ টিগ্গা আর আসেন না ৷ তিনি যদি নিজের বিশ্বস্ত সমর্থকদেরকেই ভুলে যান, তাহলে আমরা কীভাবে তাঁকে বা তাঁর সমর্থিত কাউকে বিশ্বাস করতে পারি ?" সেই ভিডিয়ো সোশাল মিডিয়ায় ঘুরছে ৷ আলিপুরদুয়ারের বিজেপি সাংসদ তথা জেলা সভাপতি মনোজ টিগ্গাকে এই বিষয়ে ফোন করা হলে, তিনি ফোন তোলেননি ৷ ফলে তাঁর প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি ৷
এ নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের আলিপুরদুয়ারের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যসভার সাংসদ প্রকাশ চিক বড়াইক বলেন, "মাদারিহাটে 2016 সাল থেকে বিজেপির মনোজ টিগ্গা জয়ী হয়ে এলেও, তিনি কোনও কাজ করেননি ৷ ফলে সাধারণ মানুষ ও বিজেপি কর্মীদের মধ্যে ক্ষোভ দাঁনা বেঁধেছে ৷ আমাদের প্রার্থীকে জেতালে বীরপাড়ার উন্নয়ন হবে ৷ এই আশ্বাস দিয়ে আমরা প্রচার করছি ৷ বীরপাড়ার ডলোমাইটের সমস্যার সমাধান, রেলগেটের যানজটের সমস্যার সমাধান থেকে শুরু করে মাদারিহাট বিধানসভার সার্বিক উন্নয়নের জন্য দেড় বছর সময় চাইছি ৷ আমরা মাকড়ার বিজেপি সমর্থকদের কাছে গিয়েও তাঁদের দুঃখ-কষ্টের কথা শুনব ৷"