ETV Bharat / state

নিহত তৃণমূল নেতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে চন্দ্রিমা, দোষীদের গ্রেফতারির আশ্বাস মন্ত্রীর - CHANDRIMA BHATTACHARYA

সোমবার মালদায় নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের শ্রাদ্ধানুষ্ঠান হয় ৷ সেখানেই হাজির ছিলেন মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷

Chandrima Bhattacharya
নিহত তৃণমূল নেতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে চন্দ্রিমা, দোষীদের গ্রেফতারির আশ্বাস মন্ত্রীর (নিজস্ব চিত্র)
author img

By ETV Bharat Bangla Team

Published : Jan 6, 2025, 8:04 PM IST

মালদা, 6 জানুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের শ্রাদ্ধের দিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বিগ্ন এই ঘটনা নিয়ে ৷ পুলিশ দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে বলেই তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ৷

মঙ্গলবার সকালে মালদায় নেমেই তিনি সোজা চলে যান নিহত নেতার ফ্ল্যাটে ৷ সেখানে তখন বাবার শ্রাদ্ধের কাজ শুরু করেছিলেন ছেলে অভিনব ওরফে পুপান ৷ তাঁকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুলালবাবুর স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার ৷ তিনি মন্ত্রীকে নিজের সন্দেহের কথাও জানান ৷ বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পর বেরিয়ে যান চন্দ্রিমা ৷

নিহত তৃণমূল নেতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে চন্দ্রিমা, দোষীদের গ্রেফতারির আশ্বাস মন্ত্রীর (ইটিভি ভারত)

এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘটনায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ৷ পুলিশ-প্রশাসন তাদের কাজ করছে ৷ আমাদের বিশ্বাস, এই ঘটনার পিছনে যারা মূল মাথা, তারা দ্রুত ধরা পড়বে এবং তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে ৷ চৈতালির সঙ্গে আমার আজ কথা হয়েছে ৷ কেউ বা কারা তো নিশ্চয়ই কাউকে ভাড়া করে এনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ সেই কেউ বা কারাদের খুঁজতে হবে পুলিশকে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে ৷ তারা ভিনরাজ্য কিংবা আশেপাশের দেশে পালিয়ে গিয়েছে কি না জানি না ৷ তবে পুলিশ যেভাবে সক্রিয় রয়েছে, তাতে তারা নিজেদের সজাগ রেখেছে বলে মনে করি ৷ চৈতালিও বিশ্বাস রাখে, অপরাধীরা নিশ্চয়ই ধরা পড়বে ৷ ও আমার দীর্ঘদিনের সাথী ৷ ওর স্বামীকে এভাবে মারা হয়েছে ৷ ওর তো দুঃখ হবেই ৷ সেটাই ও আমাকে জানিয়েছে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি দু’দিন পরে আসতাম ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজই এসেছি ৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাবলার নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন ৷ নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় দুষ্কৃতীদের একটু সুবিধে তো অবশ্যই হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয় আছে কি না জানি না ৷ তবে যে’ই এই কাজ করুক না কেন, সে ধরা পড়বেই ৷”

Chandrima Bhattacharya
নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ও পুত্রের সঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ (নিজস্ব চিত্র)

এদিকে খুনের ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে চারদিন ৷ এখনও অধরা মূল দুই অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন এবং বাবলু যাদব ৷ তাদের সন্ধান পেতে পুরস্কারের ঘোষণা করেছে জেলা পুলিশ ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের একজনেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ যদিও পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও একটি তথ্য ৷ তা হল - বৃহস্পতিবার দুলালবাবুকে বিহারের কোনও দুষ্কৃতী গুলি করেনি ৷ গুলি চালিয়েছিল রোহন আর টিংকু ৷ বিহারের দুই ভাড়াটে দুষ্কৃতীর মধ্যে শামি আখতার ঘটনাস্থলের বাইরে পিস্তল হাতে মানুষজনকে ভয় দেখিয়েছিল ৷ আবদুল গনি মোটর বাইকেই বসে ছিল ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, অপারেশন শেষ করে তারা চারজন একই বাইকে এলাকা থেকে পালিয়েছিল ৷ রাস্তায় বাইক থেকে নেমে পড়ে গনি আর রোহন ৷ তারা পুখুরিয়া হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর পেরিয়ে বিহারে ঢুকে পড়ে ৷ শামি আর টিংকু গঙ্গা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢোকার সময় মানিকচক ঘাটে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৷ তবে প্রথম থেকেই দাবি উঠেছে, এই খুনের মূল চক্রী যারা, তাদের সামনে আনা হোক ৷

মালদা, 6 জানুয়ারি: মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে নিহত তৃণমূল নেতা দুলাল সরকারের শ্রাদ্ধের দিন তাঁর পরিবারের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য ৷ তিনি জানান, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উদ্বিগ্ন এই ঘটনা নিয়ে ৷ পুলিশ দোষীদের ধরে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে বলেই তিনি আশ্বাস দিয়েছেন ৷

মঙ্গলবার সকালে মালদায় নেমেই তিনি সোজা চলে যান নিহত নেতার ফ্ল্যাটে ৷ সেখানে তখন বাবার শ্রাদ্ধের কাজ শুরু করেছিলেন ছেলে অভিনব ওরফে পুপান ৷ তাঁকে সামনে পেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন দুলালবাবুর স্ত্রী চৈতালি ঘোষ সরকার ৷ তিনি মন্ত্রীকে নিজের সন্দেহের কথাও জানান ৷ বেশ কিছুক্ষণ সেখানে থাকার পর বেরিয়ে যান চন্দ্রিমা ৷

নিহত তৃণমূল নেতার শ্রাদ্ধানুষ্ঠানে চন্দ্রিমা, দোষীদের গ্রেফতারির আশ্বাস মন্ত্রীর (ইটিভি ভারত)

এদিন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, “এই ঘটনায় খোদ মুখ্যমন্ত্রী যথেষ্ট উদ্বিগ্ন ৷ পুলিশ-প্রশাসন তাদের কাজ করছে ৷ আমাদের বিশ্বাস, এই ঘটনার পিছনে যারা মূল মাথা, তারা দ্রুত ধরা পড়বে এবং তাদের যথাযথ শাস্তির ব্যবস্থা করা হবে ৷ চৈতালির সঙ্গে আমার আজ কথা হয়েছে ৷ কেউ বা কারা তো নিশ্চয়ই কাউকে ভাড়া করে এনে এই ঘটনা ঘটিয়েছে ৷ সেই কেউ বা কারাদের খুঁজতে হবে পুলিশকে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘অভিযুক্তদের খোঁজে পুলিশ তল্লাশি চালিয়ে যাচ্ছে ৷ তারা ভিনরাজ্য কিংবা আশেপাশের দেশে পালিয়ে গিয়েছে কি না জানি না ৷ তবে পুলিশ যেভাবে সক্রিয় রয়েছে, তাতে তারা নিজেদের সজাগ রেখেছে বলে মনে করি ৷ চৈতালিও বিশ্বাস রাখে, অপরাধীরা নিশ্চয়ই ধরা পড়বে ৷ ও আমার দীর্ঘদিনের সাথী ৷ ওর স্বামীকে এভাবে মারা হয়েছে ৷ ওর তো দুঃখ হবেই ৷ সেটাই ও আমাকে জানিয়েছে ৷’’

তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি দু’দিন পরে আসতাম ৷ কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে আজই এসেছি ৷ মুখ্যমন্ত্রী নিজে বাবলার নিরাপত্তারক্ষী সরিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদ করেছিলেন ৷ নিরাপত্তারক্ষী না থাকায় দুষ্কৃতীদের একটু সুবিধে তো অবশ্যই হয়েছে ৷ এক্ষেত্রে গোষ্ঠী কোন্দলের বিষয় আছে কি না জানি না ৷ তবে যে’ই এই কাজ করুক না কেন, সে ধরা পড়বেই ৷”

Chandrima Bhattacharya
নিহত তৃণমূল নেতার স্ত্রী ও পুত্রের সঙ্গে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য৷ (নিজস্ব চিত্র)

এদিকে খুনের ঘটনার পর পেরিয়ে গিয়েছে চারদিন ৷ এখনও অধরা মূল দুই অভিযুক্ত কৃষ্ণ রজক ওরফে রোহন এবং বাবলু যাদব ৷ তাদের সন্ধান পেতে পুরস্কারের ঘোষণা করেছে জেলা পুলিশ ৷ কিন্তু এখনও পর্যন্ত তাদের একজনেরও খোঁজ পাওয়া যায়নি ৷ যদিও পুলিশি তদন্তে বেরিয়ে এসেছে আরও একটি তথ্য ৷ তা হল - বৃহস্পতিবার দুলালবাবুকে বিহারের কোনও দুষ্কৃতী গুলি করেনি ৷ গুলি চালিয়েছিল রোহন আর টিংকু ৷ বিহারের দুই ভাড়াটে দুষ্কৃতীর মধ্যে শামি আখতার ঘটনাস্থলের বাইরে পিস্তল হাতে মানুষজনকে ভয় দেখিয়েছিল ৷ আবদুল গনি মোটর বাইকেই বসে ছিল ৷

পুলিশ সূত্রে খবর, অপারেশন শেষ করে তারা চারজন একই বাইকে এলাকা থেকে পালিয়েছিল ৷ রাস্তায় বাইক থেকে নেমে পড়ে গনি আর রোহন ৷ তারা পুখুরিয়া হয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর পেরিয়ে বিহারে ঢুকে পড়ে ৷ শামি আর টিংকু গঙ্গা পেরিয়ে ঝাড়খণ্ডে ঢোকার সময় মানিকচক ঘাটে পুলিশের হাতে ধরা পড়ে ৷ তবে প্রথম থেকেই দাবি উঠেছে, এই খুনের মূল চক্রী যারা, তাদের সামনে আনা হোক ৷

ETV Bharat Logo

Copyright © 2025 Ushodaya Enterprises Pvt. Ltd., All Rights Reserved.