ভাষার ভিত্তিতে বাংলা ভাগের অভিযোগ ! প্রতিবাদে 'ধর্মতলা চলো'র ডাক বিজেপি'র - WEST BENGAL BJP
অবাঙালিদের বাংলা ভাষা শেখার সুযোগ বন্ধ করে দেওয়া হচ্ছে বলে রাজ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ বিজেপি'র ৷ এর প্রতিবাদে এবার 'ধর্মতলা চলো' কর্মসূচির ডাক গেরুয়া শিবিরের ৷
কলকাতা, 17 ডিসেম্বর: ভাষার ভিত্তিতে বাংলাকে বিভাজন করা হচ্ছে ৷ রাজ্যের তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে এবার এমনই অভিযোগ তুলল বিজেপির 'ওয়েস্ট বেঙ্গল লিঙ্গুইস্টিক মাইনরিটি অ্যাসোসিয়েশন' ৷ প্রতিবাদে আগামী 22 ডিসেম্বর 'ধর্মতলা চলো' কর্মসূচির ডাক দিল গেরুয়া শিবির ৷
অ্যাসোসিয়েশনের তরফে সোমবার একটি সাংবাদিক বৈঠক করা হয় ৷ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন আসানসোলের বিজেপি নেতা জিতেন্দ্র তিওয়ারি এবং ভাটপাড়ার বিজেপি নেতা অর্জুন সিং ৷ রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তাঁদের অভিযোগ, মাতৃ ভাষা বাংলা না-হওয়ায় রাজ্যের বিশেষ অবাঙালি সমাজকে হিন্দি ভাষার ভিত্তিতে বিভাজিত করে রাখা হচ্ছে । এমনকী, তাঁরা যাতে বাংলা ভাষা শিখতে না পারে, বেশিরভাগ ইংরেজি মাধ্যমে স্কুলে বাংলা ভাষা শেখানোর উপর কোনও জোর দেওয়া হচ্ছে না । বিজেপির দাবি, রাজ্যের সমস্ত স্কুলে বাংলা ভাষা বাধ্যতামূলক করা হোক ।
ধর্মতলা চলো ডাক বিজেপির (ইটিভি ভারত)
অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি জিতেন্দ্র তিওয়ারি বলেন, "আরজি কর কাণ্ডে ধৃত সঞ্জয় রায়কে তার জঘন্য অপরাধের ভিত্তিতে চিহ্নিত না করে একটি বিশেষ 'ভাষার' মানুষ হিসেবে চিহ্নিত করা হচ্ছে । দোষীদের কোনও 'ভাষা' হয় না । অথচ, সেই ভাষার অন্যান্য মানুষদেরও তার 'দেশওয়ালা' তাঁর 'গাঁও ওয়ালা' বা তাদের নিজেদের লোক বলা হচ্ছে । এভাবে পুরো একটা জাতিকে অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে । এমনকী, এই ভাষার মানুষজন যে উৎসব পালন করেন, যেমন ছট পুজোকেও আক্রমণ করা হচ্ছে ।"
সেই সঙ্গে তিনি আরও জানান, এখন অনেক স্কুলেই বাংলা বাধ্যতামূলক বিষয় হিসেবে আর রাখা হয় না । গত এক বছর রাজ্য সরকারের কাছে এই নিয়ে একাধিকবার আবেদন করা হয়েছে । বিজেপির অভিযোগ, "অবাঙালিদের বাংলা পড়ার সুযোগ করে দেওয়া হচ্ছে না । এটা সরকারের চক্রান্ত ৷ পরবর্তীকালে এদেরই বহিরাগত তকমা দেওয়া হবে ।"
সংগঠনের চিফ পেট্রন অর্জুন সিং বলেন, "বাংলা পক্ষের গর্গ চট্টোপাধ্যায়ও ভাষার ভিত্তিতে বাংলাকে ভাগ করার চেষ্টা করছেন ৷ বাংলায় কোনও চাকরি নেই, শিল্প নেই । এখানের মানুষজন অন্য রাজ্যে জীবিকার সন্ধানে চলে যেতে বাধ্য হচ্ছেন । মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বাংলার মানুষের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টি করে ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করছেন এবং সেটা সাধারণ মানুষ বুঝতে পেরেছে ।"