বনগাঁ, 17 জানুয়ারি: আবেদন না করেও পেয়ে গিয়েছেন বাংলার বাড়ি প্রকল্পের টাকা । আর যারা আবেদন করেছিলেন বাদ পড়েছেন তাঁরা । বাংলার বাড়ি প্রকল্পের সার্ভে করতে গিয়ে এই কারচুপি করার অভিযোগ উঠল খোদ বিডিও অফিসের দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে । অভিযুক্তদের নাম সঞ্জয় বোস ও বিশ্বজিৎ মিত্র । তাঁরা উত্তর 24 পরগনার বনগাঁ বিডিও অফিসের সেচ দফতরের চৌকিদার পদে কর্মরত । তাঁদের বিরুদ্ধে শুক্রবার গোপালনগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন বনগাঁর বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ ।
বিডিও অফিস সূত্রে জানা গিয়েছে, সঞ্জয় এবং বিশ্বজিৎ বনগাঁ ব্লকের বৈরামপুর গ্রাম পঞ্চায়েতে বাংলার বাড়ি সার্ভে করার দায়িত্বে ছিল । সার্ভে করার সময় ঘরের জন্য দুই আবেদনকারীর নাম বাদ দেয় সঞ্জয় ৷ সেই জায়গায় নতুন দুটি নাম ও তাদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট নম্বর লিখে দেয় । যারা বাংলার বাড়ির জন্য আবেদনই করেননি । একইভাবে বিশ্বজিৎ একজনের নাম বদলে দিয়েছে । ফলে বৈরামপুরের গ্রাম পঞ্চায়েতের তিনজন যোগ্য উপভোক্তা বাংলার বাড়ি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন ।
বাংলার বাড়ি প্রকল্পে দুর্নীতি নিয়ে স্থানীয় তৃণমূল ও বিজেপি নেতৃত্বের বক্তব্য (ইটিভি ভারত) সম্প্রতি বাংলার বাড়ি প্রকল্পের 60 হাজার টাকা ঢোকার পর বিষয়টি সামনে আসে । বৃহস্পতিবার বিষয়টি নিয়ে গোপালনগর থানায় ই-মেইলের মাধ্যমে অভিযোগ দায়ের করেন বনগাঁর বিডিও কৃষ্ণেন্দু ঘোষ । পরদিন অর্থাৎ, শুক্রবার সকালে বিডিও অফিসে গিয়ে দেখা যায় অভিযুক্ত দুই কর্মী আসেননি । বন্ধ রয়েছে তাদের ফোন । পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযোগের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে ।
এই ঘটনা সামনে আসার পর শুরু হয়েছে রাজনৈতিক দরজা । বিষয়টি নিয়ে বিডিওকেই কাঠগড়ায় তুলেছে বিজেপি । বনগাঁ সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি দেবদাস মণ্ডল বলেন, "বিডিও-র মদত ছাড়া এটা কখনওই সম্ভব না । এখন কর্মীদের ফাঁসাচ্ছেন তিনি ৷ বিডিও প্রমাণ করে দিলেন আবাস যোজনায় দুর্নীতি হয়েছে ।"
তবে বিষয়টির পিছনে ষড়ষন্ত্র দেখছে তৃণমূল । এই বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, "এক শ্রেণির সরকারি কর্মচারী এবং বিরোধী দলের কিছু ব্যক্তি রয়েছেন যারা সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট করার চক্রান্তের সঙ্গে যুক্ত । এফআইআর হয়েছে, পুলিশ তদন্তের মধ্য দিয়ে এই চক্রের সঙ্গে যারা যুক্ত তাদের অবিলম্বে গ্রেফতার করুক ।"