কলকাতা, 20 জানুয়ারি: 1997 সাল থেকে শুরু হয়েছিল লড়াই সমাধান মিলল 2024 সালে। দীর্ঘ 27 বছর কখনও কলকাতা পৌরনিগমে আবার কখনও কলকাতা হাইকোর্টে ছুঁটেছেন উত্তম নায়েক নামে এক ব্যক্তি। মামলার বয়ান অনুযায়ী তিলজলা চৌভাগা এলাকার বাসিন্দা হরেন্দ্রনাথ নায়েক কলকাতা পৌরনিগমের ট্যাক্স কালেক্টর ছিলেন। 1996 সালে তিনি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন। 15 জুলাই 1997 সালে কলকাতা পৌরনিগমের মেডিকেল বোর্ড তাঁকে শারীরিকভাবে অক্ষম বলে ঘোষণা করেন।
তৎকালীন কলকাতা পৌরনিগমের আইন অনুযায়ী চাকরিরত কোনও ব্যক্তি যদি শারীরিকভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন তার চাকরিতে ফিরে আসার যদি কোনও জায়গা না থাকে সেক্ষেত্রে তার পরিবারের একজন চাকরি পাওয়ার যোগ্য হিসেবে বিবেচিত হবে বিশেষ বিষয় হিসাবে। কলকাতা পৌরনিগমের তৎকালীন আইন অনুযায়ী হরেন্দ্রলাল নায়েকের বড় ছেলে উত্তম নায়েক চাকরি পাওয়ার জন্য আবেদন জানান। কলকাতা পৌরনিগম তাঁকে চাকরিতে নিযুক্ত করার আগেই 1997 সালের 20 জানুয়ারি হরেন্দ্রনাথ নায়েক মারা যান। ওই বছরই উত্তম নায়েক যে চাকরি পাওয়ার যোগ্য তা কলকাতা পৌরনিগমের ডেপুটি পার্সোনাল ম্যানেজারের নেতৃত্ব কমিটি সুপারিশ করে কলকাতা পৌরনিগমকে। অভিযোগ কোনও এক অজ্ঞাত কারণে ওই পরিবারকে কোনও পেনশন বা কোনও রকম সুযোগ-সুবিধা না দিয়েই শুধুমাত্র পরিবারের হাতে 44 হাজার 97 টাকা এককালীন হিসাবে তুলে দেয় কলকাতা পৌরনিগম।
এরপর বহু দরবার করেও মেলেনি কোনও সুরাহা ৷ অবশেষে 2014 সালে কলকাতা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হন উত্তম নায়েক। কলকাতা হাইকোর্টের তৎকালীন প্রাক্তন বিচারপতি সৌমিত্র পাল কলকাতা পৌরনিগমকে বিষয়টি বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। 2014 সালে অগস্ট মাসে কলকাতা পৌরনিগম উত্তম নায়েকের আবেদন খারিজ করে দেন। এরপর হাইকোর্টে আসেন উত্তমবাবু। মামলার শুনানি পর্বে বিচারপতি সৌগত ভট্টাচার্য কলকাতা পৌরনিগমের নোটিশ খারিজের বিষয়ে উস্মা প্রকাশ করেন ৷ পাশাপাশি তিনি বলেন, "যখন তিনি চাকরি পাওয়ার যোগ্য বিবেচিত হন তাহলে কলকাতা পৌরনিগম নিজেই নিজেদের সেই নোটিশ কীভাবে খারিজ করে দিল।"