মুর্শিদাবাদ, 29 জুলাই: চোখের সামনে নদী ভাঙনে মুহূর্তে তলিয়ে গেল 10টি বাড়ি ৷ এমনই ভয়াবহ ছবি ধরা পড়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জে ৷ গঙ্গা ভাঙনে নিমেষে এলাকার মানুষের চোখের সামনে নদীগর্ভে তলিয়ে গেল একের পর এক বাড়ি। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে আরও 25টি বাড়ি ৷
গঙ্গা ভাঙনে মুহূর্তে তলিয়ে গেল 10 বাড়ি (ইটিভি ভারত) নদী ভাঙনের কবলে আতঙ্কিত এলাকার পরিবারগুলি ৷ জিনিসপত্র সরিয়ে নিয়ে দ্রুত নিরপদ আশ্রয়ের খোঁজে চলে যেতে চাইছেন মানুষজন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় সামশেরগঞ্জ ব্লক প্রশাসন। সামশেরগঞ্জ ব্লকের বিডিও সুজিত চন্দ্র লোধ বলেন, "এখনও পর্যন্ত 10টি বাড়ি তলিয়ে গিয়েছে বলে আমাদের কাছে খবর আছে। বিপজ্জনক অবস্থায় রয়েছে আরও 25টি বাড়ি। প্রশাসনের তরফে দুর্গতদের যাবতীয় সাহায্য করা হচ্ছে।"
গঙ্গার জলস্তর বাড়তেই ফের গঙ্গা ভাঙন শুরু হয়েছে মুর্শিদাবাদের সামশেরগঞ্জের চাচণ্ড এলাকায়। সোমবার সকাল থেকে সামশেরগঞ্জের নতুন শিবপুর ভাঙা লাইন এলাকায় গঙ্গা ভাঙনের আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ভাঙনের জেরে গঙ্গাগর্ভে তলিয়ে গিয়েছে 10টি বাড়ি। তলিয়ে যায় কৃষি জমি থেকে শুরু করে শৌচালয় এবং বাড়ির ফাঁকা অংশ। গঙ্গাপাড়ে বিপজ্জনক অবস্থায় আরও প্রায় 25টি বাড়ি ঝুলছে । এক দু-দিনের মধ্যে সেগুলিও গ্রাস করতে চলেছে বর্ষায় ভয়াবহ হয়ে ওঠা গঙ্গা । ভাঙনের আতঙ্কে এলাকা ছেড়ে অন্যত্র পালাতে শুরু করেছেন গ্রামবাসীরা । বাড়িঘর ভাঙার পাশাপাশি বিভিন্ন সামগ্রী নিয়ে অন্যত্র নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যাচ্ছেন সাধারণ মানুষ । যে কোনও মুহূর্তে প্রায় আরও 50টি বাড়ি তলিয়ে যেতে পারে বলেই স্থানীয় মানুষ অনুমান করছেন ।
শুধু তাই নয়, এলাকাবাসীর অভিযোগ ভাঙনের জেরে তলিয়ে যেতে পারে নতুন শিবপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ও। এদিকে গঙ্গা ভাঙনের খবর পেয়ে ভাঙন বিধ্বস্ত এলাকায় সকালেই ছুটে যান সামশেরগঞ্জ পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য রফিকুল আলম, চাচণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েত প্রতিনিধি গোলাপ হোসেন-সহ অন্যান্য স্থানীয় প্রশাসনিক কর্তারা । প্রাথমিকভাবে ভাঙন কবলিত মানুষদের স্থানীয় প্রাইমারি স্কুলে থাকার ব্যবস্থা এবং খাওয়ার ব্যবস্থা করা হয় চাচণ্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে। এদিকে বারবার গঙ্গা ভাঙনের কবলে পড়ে অসহায় মানুষ ক্ষোভে ফুঁসছেন। প্রশাসনের অসহযোগিতার অভিযোগ তুলছেন। লাগাতার গঙ্গা ভাঙন নিয়ে ক্ষোভ ক্রমশ বাড়ছে।