হায়দরাবাদ, 8 মে:লখনউয়ের কাছে লড়াইয়ের পুঁজি যথেষ্ট ছিল না নিশ্চিতভাবে ৷ তবে এতটাও কম ছিল না যতটা মাঠে প্রতিপন্ন করলেন হায়দরাবাদের দুই ওপেনার ৷ প্রতিপক্ষ বোলারদের বেধড়ক ঠেঙিয়ে লখনউ সুপার জায়ান্টসের দেওয়া 166 রানের লক্ষ্যমাত্রা 9.4 ওভারেই তুলে দিলেন ট্রাভিস হেড এবং অভিষেক শর্মা ৷ 62 বল বাকি থাকতে 10 উইকেটে রাহুল অ্যান্ড কোম্পানিকে হারিয়ে প্লে-অফের দিকেও অনেকটা এগিয়ে গেল অরেঞ্জ ব্রিগেড ৷
8টি চার, 6টি ছয়ে 28 বলে 75 রানে অপরাজিত রইলেন অভিষেক ৷ 30 বলে অপরাজিত 59 করলেন বিশ্বকাপ ফাইনালের নায়ক হেড ৷ তার ইনিংসে ছিল 8টি ছয় এবং সমসংখ্যক চার ৷ হায়দরাবাদের দুই ওপেনারের সামনে এদিন কার্যত অথৈ জলে কৃষ্ণাপ্পা গৌতম, যশ ঠাকুর, রবি বিষ্ণোইরা ৷
টস জিতে প্রথমে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন লখনউ অধিনায়ক কেএল রাহুল ৷ যদিও ব্যাট হাতে ওপেনে নেমে ব্যর্থ দক্ষিণী ব্যাটার ৷ তবে রাহুলের আগেই আরেক ওপেনার কুইন্টন ডি'কক এবং মার্কাস স্টোইনিসকে ফেরান ভুবনেশ্বর ৷ লখনউ অধিনায়ক নিজেও আউট হন মন্থর ইনিংস খেলে ৷ 33 বলে 29 করে আউট হন রাহুল ৷ 24 রানে ক্রুনাল পান্ডিয়াকে রান-আউট করেন হায়দরাবাদ অধিনায়ক কামিন্স ৷
দ্বাদশ ওভারে 66 রানে 4 উইকেট পড়ে যাওয়া লখনউয়ের হাল ধরেন নিকোলাস পুরান এবং আয়ুষ বাদোনি ৷ হায়দরাবাদ বোলারদের পালটা আক্রমণের রাস্তায় হাঁটেন দুই ব্যাটার ৷ ঝোড়ো অর্ধশতরান আসে বাদোনির ব্যাটে ৷ 6টি চার একটি ছয়ে 26 বলে 48 রানে অপরাজিত থাকেন পুরান ৷ বাদোনির 30 বলে অপরাজিত 55 রান সাজানো ছিল 9টি চারে ৷ দুই ব্য়াটারের অবিভক্ত জুটি দেড়শো পেরিয়ে লখনউকে পৌঁছে দিয়েছিল 165 রানে ৷
আরও পড়ুন:
- পুরান-বাদোনির ঝোড়ো ব্যাটিংয়ে লড়াইয়ের পুঁজি পেল লখনউ, জিততে হায়দরাবাদের চাই 166
- 'ওর কাছে আমার রেকর্ডও নিরাপদ নয়', যশস্বীকে দরাজ সার্টিফিকেট লারার