লখনউ, 5 অক্টোবর: রঞ্জি ট্রফিতে 42 বারের চ্যাম্পিয়ন তাঁরা ৷ অথচ ইরানি কাপে শেষবার খেতাব এসেছিল 1997-98 মরশুমে ৷ অবশেষে কাটল 27 বছরের খরা ৷ অবশিষ্ট ভারতকে পিছনে ফেলে আড়াই দশকেরও বেশি সময় পর ইরানি কাপ ঘরের তুলল মুম্বই ৷ লখনউয়ের একানা স্টেডিয়ামে শনিবার ম্যাচ ড্র হলেও প্রথম ইনিংসে এগিয়ে থাকার সুবাদে খেতাব গেল মুম্বইয়ের ঝুলিতে ৷
উল্লেখযোগ্য ভাবে 1997-98 মরশুমের পর আটবার ইরানি কাপের ফাইনাল খেলেছে মুম্বই ৷ কিন্তু একবারও খেতাব জিততে পারেনি ৷ অবশেষে ধরা দিল 15তম খেতাব ৷ এবার ইরানি কাপের ফাইনালে আজিঙ্কা রাহানে নেতৃত্বাধীন মুম্বই প্রথমদিন থেকেই চালকের আসনে ৷ সরফরাজ খানের অপরাজিত দ্বিশতরানের (222*) সৌজন্য়ে প্রথম ইনিংসে 537 রান তোলে মুম্বই ৷ 97 রান করেন অধিনায়ক রাহানে ৷
জবাবে অভিমন্য়ু ঈশ্বরণের 191, ধ্রুব জুরেলের 93 রানের সত্ত্বেও প্রথম ইনিংসে মুম্বইয়ের তুলনায় পিছিয়ে পড়ে অবশিষ্ট ভারত ৷ মুম্বইয়ের হয়ে তিনটি করে উইকেট নেন শামস মুলানি এবং তনুশ কোটিয়ান ৷ প্রথম ইনিংসে 121 রানে এগিয়ে থাকা রাহানে অ্যান্ড কোম্পানি যদিও দ্বিতীয় ইনিংসে ব্য়াটিং বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয় ৷ ওপেনার পৃথ্বী শ'য়ের 76 রান সত্ত্বেও 125 রানে 5 উইকেট খুইয়ে বসে তাঁরা ৷ সারাংশ জৈনের দুর্ধর্ষ বোলিং দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাকফুটে ঠেলে দেয় সর্বাধিক রঞ্জি জয়ীদের ৷ যদিও চতুর্থ ইনিংসে রান তাড়া করে ম্য়াচ জয় কখনোই সহজ ছিল না রুতুরাজ গায়কোয়াড় নেতৃত্বাধীন অবশিষ্ট ভারতের জন্য ৷ তা হয়ওনি ৷
ছয় উইকেট হারিয়ে 153 রান নিয়ে শুরু করা মুম্বইকে ব্যাট হাতে পঞ্চমদিন সাহারা দেন তনুশ কোটিয়ান ৷ তাঁর অপরাজিত শতরানে ম্য়াচ ড্র রেখে খেতাব জিতে নেয় মুম্বই ৷ কোটিয়ান অপরাজিত থাকেন 114 রানে ৷ মোহিত অভস্তি করেন অপরাজিত 51 রান ৷ নবম উইকেটে এই দুই ব্যাটারের 58 রানের অবিভক্ত জুটিতে দ্বিতীয় ইনিংসে 8 উইকেটে 329 রান তোলে মুম্বই ৷ এরপরই হাত মিলিয়ে নেন দু'দলের ক্রিকেটাররা ৷ অবশিষ্ট ভারতের হয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে 6 উইকেট নেন জৈন ৷