কলকাতা, 20 জানুয়ারি: পোষ্যদের বাড়ির সন্তান সমতুল্য মনে করেন অধিকাংশ পোষ্যপ্রেমী । এবার সেই পোষ্যদের সঙ্গে এনেই শীতের রোদে মেলার আমেজ উপভোগ করলেন অনেকেই। সোমবার বেলগাছিয়ার পশু হাসপাতালের মাঠে এই পেটস ফ্রেন্ডলি মেলার আয়োজন করেছিল সরস্বতী ভাণ্ডার ও আই কমিউনিকেশন। সেখানেই দিনভর হল বই থেকে শাড়ি বিক্রি। আলোচনা সভা, গান, আড্ডা, খাওয়া-দাওয়া।
বিড়াল প্রেমী বন্যা এই মেলার আলোচনা সভায় যোগ দিয়ে জানালেন, সেক্টর 5 এলাকার পথ কুকুরদের খাওয়ানোর অভিজ্ঞতা। মেলায় আসা এক ব্যক্তিকে পোষ্য বিড়ালকে মারতে দেখে তিনি বাধা দেন। আলোচনা সভায় সেই ঘটনা তুলে তিনি বলেন, "অনেকেই সখ করে বাড়িতে কুকুর, বিড়াল পালন করেন। কিন্তু খেতে দেন না, বা বেঁধে রাখেন, মারধর করেন। এই ঘটনা ঠেকাতে প্রতিটা এলাকায় সচেতনতা প্রচারের ইচ্ছাপ্রকাশ করেন।
মেলার আয়োজক ঝর্না ভট্টাচার্য বলেন, "এমন উদ্যোগ নেওয়ার পরিকল্পনা করি গতবছর বইমেলা থেকে। সেবার প্রথম কোনও পোষ্য বই প্রকাশ করেন। চেয়েছিলাম এত বড় আন্তর্জাতিক বইমেলায় একটা পেটস জোন তৈরির আবেদন করেছিলাম। কারণ অনেক নিঃসন্তান বাবা, মা তাদের কাছে ওই পোষ্য হল সন্তানের মতো। তারা চাইলেও বইমেলায় আসতে পারেন না। আমরা যত পোষ্যপ্রেমী হব ইকো সিস্টেম ভালো হবে। অনেক প্রজাতি হাতিয়ে যাচ্ছে। রাস্তায় কুকুরকে মারা থেকে অত্যাচার সবটাই হয়।"

তিনি আরও বলেন, "এখনও পোষ্যপ্রেমী হয়ে উঠতে পারেনি শহর। বিভিন্ন জায়গায় যেতে হলে আগে খোঁজ নিতে হয় সেটা পোষ্যবান্ধব কি না। ক্যাফে থেকে হোটেল বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই পোষ্যদের নিয়ে যাওয়ার অনুমতি থাকে না। আমরা মিলেমিশে যাতে এই পৃথিবীতে থাকতে পারি সেই বার্তা দেওয়ার জন্যই এই পোষ্যবান্ধব মেলার আয়োজন। এই মেলায় বই থেকে হস্তশিল্প সবটাই আছে। খাবার থেকে আড্ডা গান, আলোচনা সবটাই। আনন্দের বিষয় এখানে আসতে পারবেন নিজের প্রিয় পোষ্য নিয়ে। মুখ্যমন্ত্রী মানবিক তাঁর কাছে প্রত্যাশা রইল বইমেলায় পেট জোন যাতে একটা হয়।"
এই মেলায় নিজের পোষ্য নিয়ে হাজির হন স্থানীয় কাউন্সিলর দেবিকা চক্রবর্তী। তিনিও ঘুরে দেখেন মেলার বিভিন্ন স্টল। দেবিকা চক্রবর্তী বলেন, "খুব ভালো লাগল। বাড়িতে সবসময় থাকার পর এমন একটা জায়গায় এলে আমাদের সন্তানরা আনন্দ করছে দেখেও ভালো লাগে।"