মেদিনীপুর, 20 জানুয়ারি: সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণায় খুশি নয় মেদিনীপুরে জুনিয়র ডাক্তাররা। সোমবার কর্মবিরতির মাঝেই তাঁরা মোমবাতি জ্বালিয়ে সহকর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানালেন ৷ তাঁদের বক্তব্য, "আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না, নির্যাতিতার মায়ের সঙ্গে আমরা সহমত। আমরা বাকি দোষীদের শাস্তি চাই।"
অবশেষে আরজি কর-কাণ্ডে শাস্তি ঘোষণা করেছে আদালত ৷ সঞ্জয় রায়কে আমৃত্যু কারাদণ্ডের নির্দেশ দিয়েছে শিয়ালদা আদালতের। যা নিয়ে বিভিন্ন মহলে ছড়িয়েছে চাঞ্চল্য। প্রসঙ্গত, আরজি-কর মেডিক্যালে 9 অগস্ট রাতে এক চিকিৎসক পড়ুয়াকে ধর্ষণ ও খুন করা হয় ৷ ঘটনায় রাজ্য সরকারের পাশাপাশি তদন্তে নেমেছিল সিবিআই। সিবিআইয়ের যাবতীয় তথ্য দেখে অবশেষে সাড়ে পাঁচ মাসের মাথায় সোমবার রায় ঘোষণা করল শিয়ালদা আদালত।
এই নিয়ে খুশি নন নির্যাতিতার পরিবার-সহ জুনিয়র ডাক্তাররা ৷ পাশাপাশি সমাজের অনেকেই এই রায়ে খুশি নন ৷ অনেকেই মনে করছেন, বিরল থেকে বিরতম ঘটনার এই ধরনের রায় মেনে নেওয়া যায় না। এদিন মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজের কর্মবিরতি থাকা জুনিয়র ডাক্তাররা মোমবাতি প্রজ্জলন করেন ৷ পাশাপাশি তাঁদের সহকর্মীর প্রতি শ্রদ্ধা জানান ৷ সেইসঙ্গে এই বিচারে যে তাঁরা খুশি নন তাও উল্লেখ করেন ৷ আরজি করের নির্যাতিতার মা-বাবার সঙ্গে সহমত তাঁরা ৷
উল্লেখ্য, এদিন নির্যাতিতার বাবা-মা বলেন, "আমরা ক্ষতিপূরণ চাই না ৷ শুধু বাকি দোষীদেরও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি হোক এই চাই।" এর কারণ হিসেবে জুনিয়র ডাক্তাররা ব্যাখ্যা করেন, "এই ঘটনা যদি বিরল থেকে বিরলতম না-হয়ে ওঠে তাহলে এর থেকে বিরলতম ঘটনা কী তা আমাদের জানা নেই।আমরা প্রথম থেকেই এই ঘটনার প্রতিবাদ করেছি এবং আমরা প্রকৃত দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছি।"
প্রসঙ্গত, দিন কয়েক আগে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঁচ অসুস্থ প্রসূতির মধ্যে মামনি রুইদাস নামে একজনের মৃত্যুতে শোরগোল বাঁধে।অভিযোগ ওঠে, চিকিৎসার গাফিলতি ও স্যালাইনের বিষক্রিয়ায় তাঁর মৃত্যু হয় ৷ সেই ঘটনায় 7 জন পিজিটি-সহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল সুপার নিয়ে মোট 12 জন ডাক্তারের নামে অভিযোগ জমা পড়ে, সঙ্গে সাসপেনশন অর্ডার। যদিও এদিন শ্বেতা সিং নামে আরেক পিজিটির নাম অন্তর্ভূক্ত হয় এফআইআরে। যে ঘটনার তদন্তভার চালাচ্ছে সিআইডি।