দেরাদুন, 10 ফেব্রুয়ারি: রূপোর বদলা সোনা ! 100 মিটার হার্ডলসে হারের বদলা লং জাম্পে। নিজেকে চ্যালেঞ্জ করে সাফল্যের রং বদলের নজির মৌমিতা মণ্ডলের। একইদিনে কয়েকঘণ্টার মধ্যে সাফল্যের রং বদলের ঘটনা ঘটিয়ে মৌমিতার আক্ষেপ, বাড়িতে মা-বাবার সঙ্গে কথা বলা হয়নি ৷ কারণটা ফোন বিভ্রাট ৷
রবিবার উত্তরাখণ্ডের রাজধানী দেরাদুনে জাতীয় গেমসের আসরে 100 মিটার হার্ডলসে জ্যোতি ইয়ারাজি যখন সোনা জিতলেন, তখনই মনস্থির করে ফেলেছিলেন মৌমিতা মণ্ডল। তার পরের ইভেন্ট ছিল লং জাম্প। ব্যবধান মাত্র কয়েক ঘণ্টার। কিন্তু ছোটবেলা থেকে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করা যাঁর অভ্যাস, তিনি হার মানবেন কেন ! ক্লান্তিকে দূরে সরিয়ে নিজেকে ছাপিয়ে যাওয়ার জেদ, ফলশ্রুতি 6.21 মিটার লাফিয়ে সোনা জয়। একইদিনে জোড়া পদক জিতে সিনিয়র ইভেন্টে বাংলার হয়ে নজির গড়লেন হুগলির জিরাটের মেয়ে মৌমিতা।
মোবাইল খারাপ হয়ে যাওয়ায় সকাল থেকে বাবা-মায়ের সঙ্গে কথা বলার সুযোগ পাননি। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতেও বেশ কষ্ট করতে হয়েছে। বারবার কথা ভেঙে যাচ্ছিল, যান্ত্রিক ত্রুটিতে কথাও শোনা যাচ্ছিল না স্পষ্টভাবে। তবে যেটুকু শোনা গিয়েছে তাতে সাফল্যের রেশ লেগেছিল। শুভেচ্ছাবার্তা এবং সংবাদমাধ্যমের ফোনের পরেই বাড়িতে ফোন করবেন বলে জানান অ্যাথলিট।
জোড়া পদকজয়ী মৌমিতা উচ্ছ্বসিত
- কেমন লাগছে ? 23 বছরের মৌমিতার কথায়, "প্রথমে হার্ডলসে রুপো জেতায় কিছুটা মনখারাপ ছিল। কিন্তু লং জাম্পে সোনা জয়ের পরে সেই বিষণ্ণতা কেটে গিয়েছে। এখনও পর্যন্ত এটাই আমার কেরিয়ারের সেরা প্রাপ্তি।"
- হুগলির জিরাট স্টেশনে মৌমিতার বাবার চায়ের দোকান। মা গৃহবধূ। ছোটবেলা থেকে ক্রিকেটের দিকে খুব উৎসাহ ছিল। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে আদর্শ করে এগোনোর ইচ্ছা ছিল। কিন্তু ক্রিকেট খেলার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায় অর্থ। তাই পরে অ্যাথলেটিক্সে মনোনিবেশ করেন মৌমিতা।
শ্রীরামপুরে হার্ডলস শুরু করার পরে ভুবনেশ্বরে চলে যান মৌমিতা। সেখানে দু'বছর অনুশীলনের পরে মুম্বইয়ে রিলায়েন্স ফাউন্ডেশনের অ্যাকাডেমিতে চলে যান। সেখানেই নিজেকে প্রস্তুত করছেন মৌমিতা।
সরকারের কাছে চাকরি চান না মৌমিতা