কলকাতা, 24 ডিসেম্বর: মাঠের ধারে শুকনো মুখে বসেছিলেন দিমিত্রি পেত্রাতোস। ইডেনের দিকের গ্যালারির প্রান্তে মাঠে ফেরার প্রস্তুতিতে ব্যস্ত গ্রেগ স্টুয়ার্ট। আশিক কুরুনিয়ান অনুপস্থিত। বড়দিনে পঞ্জাব ম্য়াচ খেলতে উড়ে যাওয়ার আগেরদিন মোহনবাগানের অনুশীলনের ছবিটা খানিকটা এরকমই ৷ চোটের জন্য এই তিন ফুটবলারকে বক্সিং-ডে ম্যাচে পাচ্ছেন না কোচ হোসে মোলিনা। তিন ফুটবলার কবে ফিরবেন, তা নিয়ে সদস্য-সমর্থকদের মধ্যে জল্পনা অব্যাহত।
বলা হচ্ছে পঞ্জাব পরবর্তী হায়দরাবাদ ম্যাচ থেকে দুই বিদেশি ফিরবেন। কিন্তু চোটের যা ধরন তাতে এই তিন ফুটবলারের মাঠে ফেরা দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এফসি গোয়ার বিরুদ্ধে হারের পর থেকেই মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের আকাশে হঠাৎ করেই শঙ্কার কালো মেঘ জমেছে। গত ম্য়াচে সন্দেশ ঝিঙ্গানের সঙ্গে সংঘর্ষে মুখে আঘাত লাগার পর মাস্ক পরে অনুশীলন করছেন শুভাশিস বোস ৷ এমতাবস্থায় পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষে থাকলেও পঞ্জাব এফসি ম্যাচটি মোহনবাগানের কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই ম্যাচের ফলাফল আশপ্রদ না-হলে হাতছাড়া হতে পারে মগডাল ৷
কোচের সুর ডিফেন্ডার আলবার্তো রড্রিগেজের গলায়। পেত্রাতোস, স্টুয়ার্টের অনুপস্থিতি বড় ধাক্কা। তবে দলে ভালো ফুটবলারের অভাব নেই। প্রত্যেকে নিজেদের সেরাটা নিঙড়ে দিলে পঞ্জাব ম্যাচে সফল হওয়া কঠিন নয় বলে মত স্প্য়ানিশ ডিফেন্ডারের ৷ নিজে প্রতিপক্ষকে রুখে দেওয়ার আশ্বাস দিলেন। একইসঙ্গে জানালেন দলের প্রয়োজনে আক্রমণে ভূমিকা নিতে পারলেও খুশি হবেন। বক্সিং-ডে'তে ম্য়াচ। স্বাভাবিকভাবে দলের জয়ে বড়দিনের উপহার পেতে চাইছেন সমর্থকরা ৷ আলবার্তোও জানালেন, পরিবার থেকে দূরে থাকলেও মোহনবাগান সুপার জায়ান্টই এখন তাঁর পরিবার। তাই পঞ্জাবের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিয়ে বড়দিনের উপহার সমর্থকদের দিতে চান তিনি ৷