কলকাতা, 8 ডিসেম্বর: মনবীর সিং এবং লিস্টন কোলাসোর বিশ্বমানের গোলে পাহাড়ে দাদাগিরি মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। নর্থইস্ট ইউনাইটেডকে 2-0 গোলে হারিয়ে 23 পয়েন্ট নিয়ে সবার উপরে নিজেদের অবস্থান আরও পাকা করল হোসে মোলিনার ছেলেরা । 66 এবং 71 মিনিট, দু’দুটি বিশ্বমানের গোলে পাহাড়ে সবুজ-মেরুন সূর্যোদয়। শুভাশিস বসু এবং আলবার্তো কার্ড সমস্যায় বাইরে । ফিটনেস সমস্যায় গ্রেগ স্টুয়ার্টকে পরিবর্ত হিসবে নামান মোলিনা । তিন বিদেশিকে নিয়ে একাদশ সাজিয়েও বাজিমাত মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের। দলগত প্রচেষ্টার কোলাজ ।
অলড্রেটের নেতৃত্বে আলাদিন, নেস্টর, জীতিনদের পায়ের চক্রব্যুহ তৈরি করে থামাল সবুজ-মেরুন রক্ষণ । প্রায় একবছর পরে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়ে আশিক কুরুনিয়ান বোঝালেন, তিনি তৈরি । কোচ আস্থা রেখে ভুল করেননি। একই কথা বলতে হবে দীপেন্দু বিশ্বাস সম্পর্কেও । তবে বিশেষভাবে কৃতিত্ব দিতে হবে ম্যাচর সেরা আশিস রাইকে। যখনই আলাদিনের পায়ে বল পড়েছে, তখন কড়া ট্যাকেলে তা থামিয়ে দিয়েছেন । ফলে মরোক্কান গোল মেশিন সাধারণ পর্যায়ে নেমে আসেন ।
সবুজ-মেরুন মিডফিল্ডাররাও পরিস্থিতি অনুযায়ী খেলার ধরণ বদল করে ম্যাচের রাশ পায়ে রাখলেন। অক্লান্ত পরিশ্রম করে রক্ষণের সঙ্গে সেতু বাঁ ধার কাজটা করলেন সাহাল আব্দুল সামাদ। দিমিত্রি পেত্রাতোস একইরকম কার্যকরী। নিঃশব্দে প্রতিপক্ষ আক্রমণ নির্বিষ করার কাজটি করে গেলেন আপুইয়া । জয়ের অভ্যাস বজায়ে দলগত সংহতির প্রশংসার মধ্যে মনবীর সিং এবং লিস্টন কোলাসো অনবদ্য। দুই প্রান্ত ধরে প্রতিপক্ষ রক্ষণকে ব্যস্ত রাখলেন । জেমি ম্যাকলারেন, পেত্রাতোসরা যখন গোলের মুখ খুলতে পারছেন না, তখন এই দুই ভারতীয় ব্যক্তিগত মুন্সিয়ানায় গোলের মুখ খুললেন ।
66 মিনিটে কাট করে ভেতরে ঢুকে বাঁ-পায়ে দুরন্ত শটে গোল করেন মনবীর । পাঁচ মিনিট পরে 71 মিনিটে ফের গোল মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের । এবার লিস্টন কোলাসো । নর্থইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে গোল করার সু-অভ্যাস বজায় রাখলেন তিনি । মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের অনবদ্য ফুটবলের নেপথ্য কারণ বিশাল কাইথ। পুরো নব্বই মিনিটে দু’টো অনবদ্য গোল বাঁচালেন। যা জালে জড়ালে হয়ত ম্যাচের ছবিটা অন্যরকম হত । সবুজ-মেরুন সমর্থকরা গ্যালারিতে বিশাল কাইথকে নিয়ে গান বেঁধেছেন । “কৌন বাঁচায়গা বাগান কা নাইয়্যা/বিশাল ভাইয়া, বিশাল ভাইয়া ।”যা সর্বত সত্যি । দেশের সেরা গোলরক্ষকের শিরোপা এখন বিশাল কাইথের মাথাতেই ।