কলকাতা, 16 সেপ্টেম্বর: ইতিহাসের সন্ধিক্ষণে মহমেডান ! সোমবার বিকেলেই ইন্ডিয়ান সুপার লিগে অভিষেক হচ্ছে কলকাতার শতাব্দীপ্রাচীন আরও এক ক্লাবের ৷ আজ কিশোর ভারতী স্টেডিয়ামে ডুরান্ড চ্যাম্পিয়ন নর্থ-ইস্ট ইউনাইটেডের বিরুদ্ধে আইএলএল অভিযান শুরু করতে চলেছে মহমেডান স্পোর্টিং ৷ কিন্তু তার আগে কলকাতা লিগের সুপার সিক্সের ম্যাচে মুখ থুবরে পড়ল সাদাকালো শিবির ৷
আইএসএল প্রথমবার খেলতে নামার আগে রবিবার কলকাতা ফু্টবল লিগের সুপার সিক্সে কাস্টমসের কাছে ১-২ গোলে হারল মহমেডান স্পোর্টিং। বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্যের কাস্টমস ইস্টবেঙ্গলের কাছে হারের ধাক্কা সরিয়ে ফের স্বমহিমায়। কাস্টমসের হয়ে গোল রবি হাঁসদা এবং উজ্বল হাওলাদারের। মহমেডানের একমাত্র গোলটি সূরজ রাজওয়ারের। এই হারের ফলে সাদাকালো শিবিরের কাছে সুপার সিক্সের বাকি ম্যাচগুলো এখন শুধুই নিয়মরক্ষার। কারণ তাদের সামনে খেতাবি দৌড়ে টিকে থাকার কোনও সুযোগ নেই।
কাস্টমসের কাছে ১-২ গোলে পরাজিত সাদাকালো শিবির (নিজস্ব চিত্র) ভবানীপুর ক্লাবের বিরুদ্ধে বিতর্কিত জয় পাওয়ার পরে মনে হয়েছিল মহমেডান স্পোর্টিং হয়তো সম্মানরক্ষার জন্য সুপার সিক্সে মরিয়া লড়াই ছুঁড়ে দেবে। কিন্তু দেখা গেল সাদাকালো শিবির রয়েছে সেই তিমিরেই ! মরশুমের প্রথম থেকেই মহমেডান স্পোর্টিং কলকাতা লিগে খোড়াচ্ছে। গতবছর এই দলটির দাপুটে ফুটবলের সামনে বাকি দুই প্রধানকে নতজানু হতে হয়েছিল ৷ এবার সেইসব অতীত। প্রথম থেকে ছন্নছাড়া ফুটবল, যা সুপার সিক্সেও অব্যাহত। ইজরায়েল দেওয়ান, অ্যাডিসন সিং, লালথানকিমারা প্রথম থেকেই কাস্টমস ডিফেন্ডারদের কড়া নজরদারিতে জায়গা পাননি। এরসঙ্গে মহমেডান মিডফিল্ডারদের অসংখ্য মিসপাসে সুবিধা হয়ে গিয়েছিল কাস্টমসের।
প্রতিপক্ষের অসহায় ফুটবলের সুযোগ নিয়ে শুরুর প্রথম 10 মিনিট ছাড়া বাকি সময় কাস্টমসই ম্যাচের নিয়ন্ত্রক। ফলশ্রুতিতে 29 মিনিটে রবি হাঁসদার গোলে এগিয়ে যায় কাস্টমস। পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা এড়িয়ে আক্রমণাত্মক ফুটবলের পরিবর্তে আরও অগোছালো মহমেডান। বৃষ্টিভেজা মাঠে দু'দলই দেহের নিয়ন্ত্রণ রাখতে অসুবিধায় পড়ছিল। ফলে গাজোয়ারি ফুটবল এবং ফাউলে ম্যাচের আবহ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। এরই মধ্যে বিরতির আগে কাস্টমসের হয়ে দ্বিতীয় গোল উজ্বল হাওলাদারের।
কলকাতা লিগের সুপার সিক্সে মুখ থুবড়ে পড়ল মহমেডান (নিজস্ব চিত্র) দু'গোলের ধাক্কা সরিয়ে মনে হয়েছিল মহমেডান মরিয়া হয়ে উঠবে। প্রথমার্ধের দিগভ্রান্ত ফুটবল দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা দূর হয়। পরিকল্পনা করে বেশ কয়েকটি আক্রমণ যশ, সুজিতদের ৷ ফলশ্রুতিতে সূরজ রাজওয়ার গোলে ব্যবধান কমায় মহমেডান। তারপর সেই দিগভ্রান্ত ফুটবল। যার জেরে ফের খেলার রাশ তুলে নেয় কাস্টমস। বাকি সময় দু'দলই গোলের জন্য চেষ্টা করলেও তা যথেষ্ট ছিল না। তবে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ছিল বেশিরভাগ সময়ই কাস্টমসের পায়ে।