চন্দননগর, 25 ফ্রেব্রুয়ারি: অশ্লীল ইঙ্গিত নয় ৷ বরং, দুটি গাড়ির রেষারেষি পানাগড়ের দুর্ঘটনার কারণ ৷ সোমবার পানাগড়ের দুর্ঘটনা প্রসঙ্গে এমনটাই জানান আসানসোল-দুর্গাপুর পুলিশ কমিশনারেটের কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী ৷ তবে, পুলিশের এই দাবি মানতে নারাজ চন্দননগরের মৃত তরুণী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের পরিবার ৷
পরিবারের দাবি, মূল অভিযুক্তকে এখনও ধরতে পারেনি পুলিশ । অথচ, দেহ নিয়ে বর্ধমানের দিকে ফিরে আসার সময় দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়ির চালক-সহ 3 জনকে আটক করেছে ৷ দুর্ঘটনাগ্রস্ত গাড়িটির তদন্ত করছে না পুলিশ বলে দাবি তরুণীর পরিবারের । রবিবার গভীর রাতে আসল কী ঘটনা ঘটেছিল, সেই বিষয়ে সঠিক তদন্তের দাবি জানিয়েছে তরুণীর পরিবার ও প্রতিবেশীরা ।
রবিবার গভীর রাতে কাঁকসার পানাগড়ের রাইস মিলের মোড়ে গাড়ি উল্টে মৃত্যু হয় ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট সংস্থার ম্যানেজার সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায়ের ৷ মৃত তরুণী হুগলির চন্দননগরের বাসিন্দা ৷ সোমবার সন্ধ্যায় এই নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন পুলিশ কমিশনার সুনীল কুমার চৌধুরী ৷ তিনি জানান, দু'টি গাড়ির রেষারেষির অভিযোগ পায় পুলিশ ৷ ইভটিজিং বা কটুক্তির কোনও অভিযোগ দায়ের করা হয়নি ।
এই প্রসঙ্গে মৃতা তরুণীর আত্মীয় অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্যায় বলেন, "ইভটিজিংয়ের একটা অভিযোগ রয়েছে ৷ সেক্ষেত্রে প্লাস্টিকের গ্লাসগুলিতে ফিঙ্গারপ্রিন্ট থাকবে । অথচ, সেগুলিকে পরীক্ষা কেন করা হয়নি ? সেই জায়গাটিকে কেন ঘিরে রাখা হয়নি ? পুলিশ এত তাড়াতাড়ি কীভাবে বলে দিল রেষারেষির কারণে দুর্ঘটনা ?" স্থানীয় বাসিন্দা হীরালাল সিংহ বলেন, "প্রত্যক্ষদর্শীরা বারবার বলছেন বুদবুদ পেট্রল পাম্পে তেল ভরার পর ইভটিজাররা তাঁদের ধাওয়া করে পানাগড় রাইস মিলের মোড় পর্যন্ত যায় ৷ সেখানেই দুর্ঘটনাটি ঘটে ৷ গাড়ির সামনের দিকে চলে এসে সুতন্দ্রাদের গাড়িতে ধাক্কা মারে । রাজ্যের সমস্ত ঘটনাকে এভাবেই সাজিয়ে বলা হচ্ছে ।"
গত 23 ফেব্রুয়ারি গয়ায় একটি ইভেন্টের অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলেন চন্দননগরের নৃত্য শিল্পী সুতন্দ্রা চট্টোপাধ্যায় । দুর্গাপুরের কাঁকসায় মর্মান্তিক মৃত্যু হয় তাঁর । সোমবার ময়নাতদন্তের পর রাত 10টা 45 মিনিট নাগাদ চন্দননগরের নাড়ুয়ার বাড়িতে দেহ আনা হয় ।