কলকাতা, 29 জুলাই: কলকাতা লিগের পয়েন্ট নষ্ট করার অভ্যাস ডুরান্ড কাপেও বজায় রাখল মহমেডান স্পোর্টিং। শতাব্দী প্রাচীন ডুরান্ড কাপেও জয় দিয়ে শুরু করতে পারল না মহমেডান । রবিবার কিশোরভারতী স্টেডিয়ামে প্রথম ম্যাচে সাদা কালো শিবিরের সামনে প্রতিপক্ষ মোটেই অচেনা ছিল না। ঘরের মাঠে তন্ময়, সজলরা প্রতিপক্ষকে ব্যাকফুটে ঠেলবেন, এমনটা আশা করা হলেও 1-1 গোলে শেষ হয় মহমেডান স্পোর্টিং ও ইন্টার কাশী ম্যাচ ৷
গত মরশুমে আই লিগে একবারও মহমেডান স্পোর্টিংকে হারাতে পারেনি ইন্টার কাশী ৷ রবিবার ডুরান্ড কাপেও সেই পরিসংখ্যানের বদলাতে পারল না তারা ৷ আশা জাগিয়ে শুরু করলেও জয় আসেনি ৷ তবে ডুরান্ডে তাদের প্রথম ম্যাচে মহমেডান স্পোর্টিংয়ের বিরুদ্ধে ড্র করে নরজ কাড়ে ইন্টার কাশীর ফুটবলাররা ৷ আই লিগের দলটি হঠাৎ করেই সবার নজরে। কারণ ইন্টার কাশীর কোচের চেয়ারে এবার আন্তেনিও লোপেজ হাবাস। তিনবারের আইএসএল জয়ী কোচ ৷ মোহনবাগান সুপার জায়ান্টের প্রাক্তন হেডস্যর সদ্য জন্ম নেওয়া দলের দায়িত্বে। ডুরান্ড কাপে তিনি কোচের দায়িত্বে না-থাকলেও আলোচনার কেন্দ্রে অবশ্যই 68 বছরের এই স্প্যানিশ ভদ্রলোক।
ম্যাচের বয়স তখন 62 মিনিট। মহমেডানের হয়ে দুরন্ত ফ্রি-কিকে গোল করেন অ্যাশলে কোলি ৷ বলের দিকে দৃষ্টি নিবন্ধ করে 23 মিটার দূর থেকে যে দুরন্ত শটে বল জালে জড়ালেন, তা সমর্থকদের থেকেও বেশি স্বস্তি দিল কোচ হাকিম সেনজেনডোকে। সুদূর রাশিয়া থেকে যার সাক্ষী থাকলেন আন্দ্রে চের্নিশভও। কোলির দুরন্ত গোলের পর ছন্দে ফেরে মহমেডান ৷ তবে ডুরান্ডের প্রথম ম্যাচ জয় অধরা থাকল সাদা-কালো শিবিরের ৷
ম্যাচের প্রথম আধ ঘন্টায় সাদা-কালো শিবিরের ফুটবলারদের পারফরম্যান্স বলা মতো কিছুই ছিল না। 39 মিনিটে গোল হজম করে মহমেডান ৷ ইন্টার কাশীকে এগিয়ে দেন মহমেডানেরই প্রাক্তনী নিকোলা স্টোজানোভিচ ৷ এরপর বার কয়েক সাদা-কালো শিবির আক্রমণ হানলেও তা আটকে যায় ইন্টার কাশীর গোলরক্ষক শুভম ধাসের হাতে। সময় যত গড়িয়েছে ততই বারের তলায় ডালপালা ছড়িয়েছেন। যার সামনে সাদা-কালো আক্রমণ বারবার আটকে গিয়েছে।
শেষ পর্যন্ত অ্যাসলের দুরন্ত ফ্রি-কিক মহমেডান স্পোর্টিংকে অন্তত একটা পয়েন্ট নিয়ে এসে দেয়। সাদা-কালো শিবিরে কোচ হাকিম সেনজেনডো অবশ্য পিছিয়ে পড়েও দল ঘুরে দাঁড়ানোয় খুশি। তিনি জানান, প্রতিযোগিতার প্রথম ম্যাচ সবসময়ই কঠিন। সেখানে প্রতিটি ফুটবলার নিংড়ে দিয়েছে। খেলার গতির বিপরীতে গোল হয়েছে। তারপর যেভাবে খেলার রাশ ফুটবলাররা তুলে নিয়েছিল, তাতে কোচ হিসেবে আশাবাদী তিনি। আগামী দু'টি ম্যাচে জয় পেলেই পরের পর্বে যাওয়ার আশা থাকবে। দিনের শেষে শূন্য হাতে ফিরতে না-হওয়ার মধ্যেও আশার আলো দেখছেন মহমেডান কোচ।