কলকাতা, 14 অগস্ট: ঘরের মাঠে চেনা পরিবেশ, বিপুল জনসমর্থন ৷ তুর্কমেনিস্তানের অ্যাল্টিন অ্যাসার এফসি’র বিরুদ্ধে প্রথমেই এগিয়ে গিয়েছিল ইস্টবেঙ্গল ৷ জোরালো হেড বারে লেগে ফিরলে ফিরতি বল জালে জড়িয়ে দেন ডেভিড লালহ্লানসাঙ্গা ৷ যদিও 5 মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার পরেও তা ধরে রাখতে ব্যর্থ লাল-হলুদ ৷
গোল শোধ করে এগিয়ে গিয়েছে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব ৷ মাইরাত অ্যানায়েউয়ের গোল শোধের পর ফ্রি-কিক থেকে দুরন্ত গোলে দলকে এগিয়ে দিয়েছেন সেলিম নারমুরাদেউ ৷ সল্টলেকের বিবেকানন্দ যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে এই মুহূর্তে 2-1 গোলে পিছিয়ে ঘরের টিম ৷
পাঁচ মিনিটে ডেভিডের গোলে এগিয়ে যাওয়ার মনে হয়নি ইস্টবেঙ্গল এফসি সমস্যায় পড়তে পারে । এএফসি কাপের খেলা দেখতে আসা হাজার তিরিশ দর্শক তখন আর্ন্তজাতিক পর্যায়ে ইস্টবেঙ্গলের ভালো পারফরম্যান্সের পুনরাবৃত্তির আশায় মশগুল ৷ কিন্তু প্রথমে গোল করার সুবিধা ধরে রাখতে যে চাপ বজায় রাখা দরকার ছিল, তা লাল-হলুদ ফুটবলাররা করতে পারেননি । ফলে তুর্কমেনিস্তানের দলটি পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা সামলে রাশ তুলে নেয় ৷
ফলশ্রুতিতে 17 মিনিটে সমতায় ফেরে । ইস্টবেঙ্গল রক্ষণের অফসাইডের ফাঁদ এড়িয়ে সমতায় ফেরান মাইরাত অ্যানায়েউ । এর আগে মায়াত্রাদিয়েভের দুরপাল্লার জোরালো শট বাঁচান প্রোভসুখন গিল ৷ এই সময় ম্যাচের রাশ পুরোটাই তুর্কমেনিস্তানের পায়ে ৷ 27 মিনিটে ফ্রি-কিক থেকে অসাধারণ গোল নুরমুরাদভের ৷ এক গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থা থেকে দু’গোলে পিছিয়ে পড়ার ধাক্কা । জয়ের প্রত্যাশায় ভিড় জমানো সমর্থকরা চুপ। বারবার প্রতি আক্রমণে এসে লাল-হলুদ রক্ষণকে বারবার অস্বস্তিতে ফেলছে তুর্কমেনিস্তানের ক্লাব দলটি ৷ এই ম্যাচ হারলে টায়ার টু থেকে বিদায় নেবে ইস্টবেঙ্গল ৷