কলকাতা, 21 অক্টোবর:রোগ ধরে ফেলেছিলে বড় ম্য়াচের বেঞ্চে বসেই ৷ এরপর দু'দিনে তা খানিকটা ঘষা-মাজা করে সোমের বিকেলে দলবল নিয়ে কলিঙ্গ রাজ্যে পাড়ি দিলেন অস্কার ব্রুজো ৷ আর শহর ছাড়ার আগে তাঁর দ্বিতীয় প্র্যাকটিস সেশনের পর সাংবাদিক সম্মেলনে লাল-হলুদের নয়া কোচ জানালেন ওড়িশা এফসি ম্য়াচ তাঁর কাছে ফাইনাল ৷
বড় ম্যাচ হারের পরদিন লাল-হলুদে ছিল আড়াই ঘণ্টার অনুশীলন ৷ সোমবারও ব্রুজোর অনুশীলনের একই গতিপ্রকৃতি বজায় থাকল ৷ একইসঙ্গে অনুশীলন দেখে অনেকটাই স্পষ্ট যে, সার্জিও লোবেরার দলের বিরুদ্ধে আগামিকাল একাদশে একাধিক বদল আনছেন ব্রুজো ৷ এদিন যেমন প্রথম দলে দিমিত্রিয়স দিয়ামানতাকোসকে রেখে অনুশীলন করালেন তিনি ৷ অনুশীলনের গতিপ্রকৃতি দেখে স্পষ্ট সেন্ট্রাল ডিফেন্সে হেক্টর ইউস্তের পরিবর্তে ওড়িশার বিরুদ্ধে আসতে চলেছেন হিজাজি মাহের ৷ এখানেই শেষ নয়, সৌভিক চক্রবর্তীর পরিবর্তে দিয়োগো মৌরিসিও-আহমেদ জাহুদের বিরুদ্ধে দেখা যেতে পারে জিকসন সিংকে ৷
অস্কার ব্রুজো (ইটিভি ভারত) টানা ছ'ম্যাচ হেরে দলের ফুটবলারদের মানসিকভাবে আনফিট বলেছিলেন শীর্ষকর্তা দেবব্রত সরকার ৷ তিনি জানান, এই পিছিয়ে পড়া অবস্থা থেকে ফুটবলাররা নিজেরাই বেরিয়ে আসার পথ বের করতে পারে। ক্লাব শীর্ষকর্তার বিশ্লেষণকে সঠিক বলে সাংবাদিক সম্মেলনে জানান অস্কার ব্রুজো ৷ আর সে কারণেই সোমবার প্র্যাকটিসে হালকা কিছু কসরতের ব্যবস্থা করেছিলেন স্প্যানিয়ার্ড। যেখানে মজা রয়েছে কিন্তু একঘেঁয়েমি নেই। অনুশীলনে সেই ফান সেশন উপভোগ করলেন ফুটবলাররাও। তবে শারীরিকভাবে ফুটবলাররা যে এখনও বেশ পিছিয়ে, তা স্বীকার করলেন লাল-হলুদ হেডস্যর।
ব্রুজো সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, "দল হিসেবে ওড়িশা যথেষ্ট শক্তিশালী। ওদের খেলা আমি দেখেছি। অন্য দলের কোচ হিসেবে ওদের হারিয়েওছি। আমার বর্তমান দলেও ভালো ফুটবলার রয়েছে। তাই ফিরে আসার জন্য এই ম্যাচের সাফল্য আমাদের জরুরি। ফাইনাল হিসেবেই ম্যাচটাকে দেখছি।" ওড়িশা এফসি ম্যাচের পরে এএফসি কাপের তিন ম্যাচ ইস্টবেঙ্গল খেলবে। অস্কার ব্রুজো বলছেন, "মোহনবাগান এএফসিতেই নেই। তাই দেশের মানরক্ষার ভার আমাদের উপরে। আগামী এগারো দিনে চারটি ম্যাচ খেলতে হবে। তাই ভালো পারফরম্যান্সের দায় রয়েছে আমাদের।" তার আগে অবশ্য আইএসএলে হারের ডাবল হ্যাটট্রিক রুখতে বদ্ধপরিকর কার্লেস কুয়াদ্রাতের উত্তরসূরি ৷