কলকাতা, 26 জুলাই: বৃষ্টিভেজা বিকেলে আশিয়ান কাপ জয়ের 21 বছরের পূর্তি পালন। সঙ্গে ক্লাবের মিডিয়া সেন্টারের নবরূপে আত্মপ্রকাশ। শুক্রবার তাই ইস্টবেঙ্গল ক্লাবস্মৃতির সরণি ধরে হাঁটল। স্বাধীনতা পরবর্তী ভারতীয় ক্লাব ফুটবলের সবচেয়ে বড় ট্রফি জয়ের ঘটনা ইস্টবেঙ্গলের আশিয়ান কাপ জয়। স্বাভাবিকভাবেই স্মৃতির সরণিতে হাঁটতে হাঁটতে ফুটবলার, ম্যানেজার এবং ক্লাব কর্তারা স্মৃতিমেদুর ৷
এরই মধ্যে ইস্টবেঙ্গল ক্লাবের বর্তমান সভাপতি এমএল লোহিয়া জানিয়েছেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব লড়াইয়ে নাম। তাঁকে ছোটবেলায় আকৃষ্ট করেছিল ক্লাবের জার্সির উজ্জ্বল লাল-হলুদ রং। তারপর প্রয়াত সচিব দীপক পল্টু দাসের সংস্পর্শে এসে আরও বেশি করে ক্লাবের সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছেন। দীর্ঘ সম্পর্কের কারণেই তিনি বিশ্বাস করেন, ইস্টবেঙ্গল ক্লাব সদস্য সমর্থকদের ক্লাব, 'কোনও শিল্পপতির ক্লাব নয়'।
আশিয়ান কাপ জয়ের আনন্দের মাঝে দেবজিৎ ঘোষের চোট পেয়ে প্রায় মৃত্যুমুখে চলে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেছিল। সেখান থেকে অবিশ্বাস্যভাবে তাঁকে বাঁচিয়ে ছিলেন ডগলাসের তাৎক্ষণিক প্রাথমিক চিকিৎসা এবং দলের সঙ্গে যাওয়া ডাক্তার শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্তর চিকিৎসা। দেবজিৎ বলেছেন, চোট পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে তাঁকে আর সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলানো হয়নি। সেই সময় ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন। কোচ সুভাষ ভৌমিকের সঙ্গে রাগ করে চার-পাঁচদিন কথা বলেননি। পরে বুঝতে পেরেছিলেন সেদিনের পরিস্থিতিতে ওটাই ছিল সঠিক সিদ্ধান্ত।