কলকাতা, 30 ডিসেম্বর: সদিচ্ছার অভাব থাকলে অনেক কিছু হয়ে থাকে। যার ব্যাখ্যা মেলানো কঠিন হয়ে দাঁড়ায়। রাজ্য় ক্রিকেট সংস্থার অন্দরমহলে এখন কান পাতলে শোনা যাচ্ছে এই কথা। বর্ষশেষ এবং বর্ষবরণের মাঝামাঝি সময়টা সিএবি'তে দুলকি চালের আবহ বিরাজ করে। মাঝে মাঝে সেটা এতটাই বাড়াবাড়ি পর্যায়ে চলে যায় যে, সামাল দেওয়া মুশকিল হয়। পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্য়ায়কে পর্যন্ত আসরে নামতে হয়। কেন এই গৌড়চন্দ্রিকা?
আগামী 12 জানুয়ারি বিসিসিআই'য়ের বিশেষ সাধারণ সভা। যেখানে সচিব এবং কোষাধ্যক্ষ নির্বাচন করা হবে। তার জন্য বোর্ডের অধীনে থাকা সব রাজ্য ক্রিকেট সংস্থাকে তাদের প্রতিনিধিদের নাম পাঠাতে বলেছিল বিসিসিআই। নিয়ম মেনে সেটাই করেছে সব ক্রিকেট সংস্থা। ব্যতিক্রম সিএবি ৷ বাংলা ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের থেকে বোর্ডে কোনও নাম জমা পড়েনি। অথচ বিসিসিআই'য়ের তরফ থেকে সময় ছিল যথেষ্টই ৷ 27 ডিসেম্বর সন্ধে 8টা পর্যন্ত ছিল সময়সীমা। কিন্তু সেই সময়সীমা পার হওয়ার পর নড়েচড়ে বসে সিএবি।
জয় শাহ বোর্ড সচিব থেকে আইসিসি চেয়ারম্যান হয়েছেন। ফলে তাঁর ছেড়ে যাওয়া কুর্সিতে বসবেন নতুন কেউ। কোষাধ্যক্ষ আশিস সেলারের মেয়াদ ফুরিয়েছে। সেই পদেও নতুন কাউকে বাছাই করতে হবে। আর সেটা করবেন বোর্ডের অধীনে থাকা 34টি ক্রিকেট সংস্থার প্রতিনিধিরা। তার আগে বোর্ড অনুমোদিত 35টি সংস্থা সময়মত তাদের প্রতিনিধিদের নাম পাঠিয়েছে ৷ একমাত্র তালিকায় সিএবি'র কোনও প্রতিনিধির নাম নেই।