পশ্চিমবঙ্গ

west bengal

ETV Bharat / sports

কুরুনিয়ান নয়, বাঙালি ফুটবলাররা অনুপ্রাণিত হবে প্রীতম-শুভাশিসদের দেখে: শিলটন - CSJC FELICITATES SHILTON - CSJC FELICITATES SHILTON

SHILTON SHOUTS FOR MORE BENGAL FOOTBALLERS IN ISL: ভারতীয় ফুটবলে, বিশেষ করে বাংলার ফুটবলে আরও বেশি করে বাঙালি ফুটবলারদের আনতে হবে ৷ প্রীতম-শুভাশিসদের দেখেই অনুপ্রাণিত হবে বাংলার পরবর্তী প্রজন্ম, ভিনরাজ্যের ফুটবলারদের দেখে নয় ৷ সাফ মন্তব্য শিলটনের ৷

CSJC FELICITATES SHILTON
শিলটনকে সংবর্ধনা ক্রীড়া জার্নালিস্ট ক্লাবের (ETV Bharat)

By ETV Bharat Sports Team

Published : Sep 10, 2024, 5:54 PM IST

কলকাতা, 10 সেপ্টেম্বর: 'শুধু বাঙালি গোলকিপারই নয়, আইএসএলে বাংলার ফুটবলারই কমে গিয়েছে।' সোমবার কলকাতার ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে এসে হতাশা ঝরে পড়ল শিলটন পালের গলায় ৷ একইসঙ্গে বাগানের 'বাজপাখি' জানালেন বাংলার পরবর্তী প্রজন্মকে ফুটবলের প্রতি আকৃষ্ট করতে পারেন প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাসদের মত ফুটবলাররা; কোনও ভিনরাজ্যের ফুটবলার নন ৷

2024 কলকাতা লিগে খেলে সদ্য গ্লাভসজোড়া তুলে রেখেছেন শিলটন ৷ অবসরে যাওয়া তারকা গোলরক্ষককে এদিন সংবর্ধনা জানানো হয় কলকাতা স্পোর্টস জার্নালিস্ট ক্লাবের তরফে ৷ সেই অনুষ্ঠানে শিলটন বলেন, "প্রীতম কোটাল, প্রবীর দাস, শুভাশিস বসু, শৌভিক চক্রবর্তী, রহিম আলির মতো হাতে গোনা কয়েকজন ফুটবলার আইএসএলে খেলছে। কলকাতার দলে মাত্র দু-একজন বাঙালি ফুটবলার রয়েছে। বাংলার ফুটবলারদের বাংলার ক্লাবে ফিরিয়ে নিয়ে আসতে হবে। যাদের দেখে বাংলার খুদে ফুটবলাররা অনুপ্রাণিত হবে। বাঙালিরা আশিক কুরুনিয়ান কিংবা অন্য ফুটবলারদের দেখে অনুপ্রাণিত হবে না, বাংলার ফুটবলারদের দেখেই অনুপ্রাণিত হবে।"

কলকাতা ক্রীড়া সাংবাদিক ক্লাবের তরফে আয়োজিত সদ্য প্রাক্তন হওয়া গোলরক্ষকের সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সোমবার ছিলেন প্রাক্তন মহিলা ফুটবলার শান্তি মল্লিক। এদিন শিলটনের হাতে ক্লাবের তরফে যেমন স্মারক তুলে দেওয়া হয়, তেমন প্রাক্তন গোলরক্ষকও ক্লাবকে একটি স্মারক উপহার দেন ৷ শিলটন জানান, মছলন্দপুর থেকে কলকাতায় আসা, বেড়ে ওঠা, টাটা ফুটবল অ্যাকাডেমিতে সুযোগ পাওয়া; ছোটবেলার সব কথাই তাঁর মনে আছে। পরিশ্রম করেছিলাম বলেই নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছি বলে জানান স্মৃতিমেদুর শিলটন।

বাবার প্রিয় ফুটবলার ছিলেন ইংল্যান্ডের কিংবদন্তি গোলরক্ষক পিটার শিলটন। ছেলের নাম তিনি প্রিয় ফুটবলারের অনুকরণেই রেখেছিলেন তিনি। পিটার শিলটন অবসর নিয়েছিলেন 40 পার করে। কিন্তু বাঙালির শিলটন বুট তুলে রাখলেন মধ্য তিরিশ পার করে। কথায় বলে গোলরক্ষকরা বয়স বাড়ার সঙ্গে পরিণত হয়। সেক্ষেত্রে মধ্য তিরিশে শিলটনের বুট তুলে রাখা নিয়ে অনেকেরই আপত্তি ছিল। তবে শিলটন বলছেন, "অনেকেই বলছে আমি একটু তাড়াতাড়ি অবসর নিয়েছি। আরও কিছুদিন খেলা উচিৎ ছিল। কিন্তু আমি মনে করি, সঠিক সময়েই অবসর নিয়েছি।"

ABOUT THE AUTHOR

...view details