কলকাতা, 30 জানুয়ারি:ঘরের মাঠে বাংলার বোলারদের দাপুটে পারফরম্যান্সের সামনে একা কুম্ভে লড়াই আনমোল মালহোত্রার ৷ তাঁর শতরানে চেপে ইডেনে বাংলার বিরুদ্ধে রঞ্জি ম্য়াচের প্রথম ইনিংসে দু'শোর কাছাকাছি পৌঁছল পঞ্জাব ৷ সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় পরবর্তী বাংলার সবচেয়ে বড় ক্রিকেট নক্ষত্র ঋদ্ধিমান সাহার বিদায়ী ম্য়াচ এটি ৷ আর পাপালির বিদায়ী মঞ্চে জমকালো অভিষেক হল সুমিত মোহান্তর ৷ আত্মপ্রকাশে চার উইকেট নিলেন ডানহাতি পেসার ৷
বিদায়ী ম্য়াচের শুরুতে মাঠে এদিন ঋদ্ধিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় সিএবি'র তরফে ৷ হাজির ছিলেন প্রেসিডেন্ট স্নেহাশিস গঙ্গোপাধ্যায়। পাপালিকে সিএবি'র তরফে ছিমছাম সংবর্ধনা নিঃসন্দেহে মনভালো করা ছবি। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে রঞ্জি ট্রফির গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচের ফলাফলে নকআউটে যাওয়ার সম্ভাবনা সেই অর্থে নেই। তবুও জয় দিয়ে মরশুমে ইতি টানার লক্ষ্যে বাংলা। অবশ্যই বিদায়বেলায় দলের জয় হবে ঋদ্ধির সবচেয়ে বড় উপহার ৷ সেই লক্ষ্যে টস জিতে ইডেনে এদিন ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন বাংলা অধিনায়ক অনুষ্টুপ মজুমদার।
বিদায়ী ম্যাচে প্রথম ঘণ্টা উইকেটের পিছনে দাঁড়ান ঋদ্ধি। কেরিয়ারের সায়াহ্নেও উইকেটের পিছনে একইরকম ক্ষিপ্র বছর চল্লিশের স্টাম্পার-ব্যাটার। পঞ্জাবের বিরুদ্ধে বাংলার জার্সিতে অভিষেক ঘটল সুমিত মোহান্ত এবং বিশাল ভাটির। বালুরঘাটের ছেলে সুমিত অভিষেকে নজর কাড়লেন। বিপক্ষের চার উইকেট তুলে নিলেন 58 রানে। সূরজ সিন্ধু জয়সওয়ালের নামেও চার উইকেট। বাংলার দুই পেসারের দাপটে একসময় পঞ্জাব 73 রানে ছয় উইকেট হারিয়েছিল। সেখান থেকে আনমোল মালহোত্রার অপরাজিত 106 রান পঞ্জাবকে পৌঁছে দেয় 191 রানে। সূরজ, সুমিতের পাশে দুই উইকেট উজ্বল মহম্মদ কাইফও।