নয়াদিল্লি, 12 ফেব্রুয়ারি: সন্দেশখালির হিংসার ঘটনায় রাজ্য প্রশাসনকে কড়া আক্রমণ করলেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী স্মৃতি ইরানি ৷ সন্দেশখালিতে মহিলাদের বিক্ষোভ নিয়ে সরাসরি মুখ্যমন্ত্রী মমতো বন্দ্যোপাধ্য়ায়কেই নিশানা করেন মোদি মন্ত্রিসভার এই সদস্য ৷ তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, সন্দেশখালিতে যে অরাজকতা হয়েছে তা আদতে রাষ্ট্রীয় মদতপুষ্ট ৷
এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে স্মৃতি ইরানি বলেন, "সন্দেশখালিতে মহিলারা মিডিয়ার কাছে তাঁদের অভিজ্ঞতা ব্যক্ত করেছেন ৷ তাঁরা জানিয়েছেন, তৃণমূলের গুন্ডারা প্রতিটি ঘরে ঘুরে ঘুরে মহিলাদের নিশানা করত ৷ মমতার গুন্ডারা প্রতি রাতে মহিলাদের বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে যেত বলেও অভিযোগ করেছেন ওই এলাকার মহিলারা।"
একই সঙ্গে, এদিন স্মৃতি বলেন, "এই মহিলাদের বক্তব্যগুলো শুনুন, মহিলাদের বাড়িতে এসে চিহ্নিত করে যেত তৃণমূলের গুন্ডারা ৷ এরা সকলেই শেখ শাহজাহানের লোক ৷ বাড়ি গিয়ে মমতার গুন্ডারা মেয়েদের ধর্ষণ করছে ৷ এই সবই হয়েছে সরকার ও প্রশাসনের মদতে ৷" বিজেপি নেত্রীর কথায়, "বাংলায় অন্ধের রাজত্ব চলছে ৷ মহিলারা বলছেন, এসবই হত পুলিশের সামনে ৷ এরা সবাই শেখ শাহজাহানের লোক ৷ রাজ্য সরকার বা প্রশাসন কোনও কাজ করছে না আর বিধানসভায় এই নিয়ে প্রশ্ন তুললে বিরোধী দলের লোকদের সাসপেন্ড করা হচ্ছে ৷"
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী যখন আক্রমণ করছেন ঠিক তখনই সন্দেখালির ঘটনা নিয়ে নতুন করে উত্তেজনা ছড়িয়েছে রাজ্যে। বিধানসভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে বিধায়করা সন্দেশখালি যাচ্ছিলেন। তাঁদের সায়েন্স সিটিতে আটকে দেয় পুলিশ প্রশাসন। এই প্রসঙ্গে সরাসরি মুখ্য়মন্ত্রীকেই নিশানা করেন শুভেন্দু। তাঁর দাবি, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভয় পেয়েছেন বলেই তাঁদের যাওয়া আটকে দিয়েছেন। দিন কয়েক অসুস্থ থাকার পর হাসপাতাল থেকে বেরিয়ে এদিন শুভেন্দুদের আটকে দেওয়া নিয়ে প্রতিক্রিয়া দেন মিঠুনও। তিনি বলেন, " শুভেন্দুদাকে আটকে রাখা যাবে না। উনি শক্তিশালী নেতা।"
আরও পড়ুন:
- সন্দেশখালি ইস্যুতে উত্তপ্ত বিধানসভা, শুভেন্দু-সহ 6 বিজেপি বিধায়ক সাসপেন্ড
- অভিযুক্তরা সকলেই সম্ভবত গ্রেফতার হয়েছে, সন্দেশখালি নিয়ে প্রতিক্রিয়া মুখ্যমন্ত্রীর
- 'আগে 100 দিনের টাকা এনে দিন', গ্রামবাসীদের বিক্ষোভে সন্দেশখালির পথে তাল কাটল রাজ্যপালের