কলকাতা, 3 মার্চ: 24 ঘণ্টাও কাটল না ৷ তার আগেই মুখ পুড়ল বিজেপির ৷ লোকসভা নির্বাচনে আসানসোলে বিজেপি প্রার্থী হওয়া থেকে সরে দাঁড়ালেন ভোজপুরি অভিনেতা-গায়ক পবন সিং ৷ এরপরেই বিরোধীদের আক্রমণে আসরে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় ও রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন ৷ সোশাল মাধ্যমে বিজেপিকে খোঁচা দিয়ে তৃণমূল সেনাপতি জানালেন এটাই জনগণের শক্তি ৷
এদিন পবন সিংয়ের ভোটে না-দাঁড়ানোর সিদ্ধান্তের কথা জানান এক্স হ্যান্ডেলে ৷ ভোজপুরী গায়ক তাঁর সিদ্ধান্ত জানানোর পরই কোমর বেঁধে নামে তৃণমূল ৷ এক্স হ্যান্ডেলে পোস্ট করেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে হ্যাশট্যাগ 'জনগর্জন' উল্লেখ করে তিনি লেখেন, "পশ্চিমবঙ্গের মানুষের এটাই শক্তি।" একা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই পালটা কক্টাক্ষের সুর শোনা যায় তৃণমূল কংগ্রেসের জাতীয় মুখপাত্র ডেরেক ও'ব্রায়েনের থেকেও। তিনি বলেন, "খেলা শুরুর আগেই, এভাবেই খেলা হবে।"
এই বিষয়ে ইটিভি ভারতকে প্রতিক্রিয়া দিয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার বিদায়ী সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেন, "আসানসোলের বিজেপি সাংসদ তৃণমূল কংগ্রেসের যোগদানের পর সেখানে উপনির্বাচনের তৃণমূল কংগ্রেস তিন লক্ষ তিন হাজার ভোটে জিতেছে। তারপর থেকেই প্রত্যেকটা নির্বাচনে তৃণমূল কংগ্রেস জিতেছে এবং বাংলার মানুষ বিজেপিকে প্রত্যাখ্যান করেছে ৷
তিনি আরও বলেন, "তাই যাকে প্রার্থী করেছেন, সেই পবন সিং ভালোভাবেই জানেন আসানসোলে তৃণমূল কংগ্রেসের জয়ের ব্যবধান তিন লক্ষ তিন হাজার থেকে চার লক্ষ চার হাজারে পৌঁছে যাবে। তাই হয়তো তাঁর শুভ বুদ্ধির উদয় হয়েছে ৷ সে কারণেই তিনি একথা বলছেন। কিন্তু সবচেয়ে লজ্জার বিষয় বিজেপি ঢক্কানিনাদ করে প্রার্থী ঘোষণা করছে, তারপরে প্রার্থী নিজে বলছে আমি লড়তে চাই না। এর থেকে বড় লজ্জার বিষয় আর কী হতে পারে।"
অন্যদিকে, শিশু ও নারী কল্যাণ মন্ত্রী শশী পাঁজা বলেন, " জনগর্জণের কারণে শেষ পর্যন্ত প্রার্থী পদ বাতিল করতে বাধ্য হলেন পবন সিং। এটাই বাংলার জনগণের শক্তি। এটাই বাংলার মায়েদের শক্তি। বিজেপি যতই চেষ্টা করুক তাঁদের মন পাবে না। বাংলার মেয়েদের প্রতিবাদের কারণেই প্রার্থী নিজে সরে দাঁড়াতে বাধ্য হলেন ৷"